সামাজিক দূরত্ব স্থাপন
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ কৌশল / From Wikipedia, the free encyclopedia
সামাজিক দূরত্ব স্থাপন বা শারীরিক দূরত্ব স্থাপন সংক্রামক রোগ বিস্তার প্রতিরোধের জন্য সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের একগুচ্ছ ঔষধবিহীন পদক্ষেপ। সামাজিক দূরত্ব স্থাপনের উদ্দেশ্য হল সংক্রামক রোগ বহনকারী ব্যক্তির মাধ্যমে সংস্পর্শ এড়ানোর সম্ভাবনা কমানো। একইসাথে আক্রান্ত ব্যক্তি যেন অপরের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে না পারে তথা রোগ সংবহন কমানো এবং সর্বোপরি মৃত্যুহার কমানো।[5][6]
সামাজিক দূরত্ব স্থাপন সবচেয়ে কার্যকর তখন হয়, যখন সংক্রমণ ছড়ায়। অতিক্ষুদ্র ফোঁটা (হাঁচি-কাশির), যৌন সংস্পর্শসহ প্রত্যক্ষ দৈহিক সংস্পর্শ, পরোক্ষ দৈহিক সংস্পর্শ (সংক্রমণী বস্তু রয়েছে এমনরূপে দূষিত স্থান স্পর্শ) এবং বায়ুবাহিত সংবহনের মাধ্যমে (যদি জীবাণু বায়ুতে দীর্ঘসময় ধরে বেঁচে থাকতে পারে)।[7]
সামাজিক দূরত্ব স্থাপন সেই সকল ক্ষেত্রে খুব একটা কাজ করেনা যখন সংক্রমণ ছড়ায় দূষিত পানি বা খাদ্যের মাধ্যমে কিংবা বাহক যেমন মশা বা অন্য কীটের মাধ্যমে এবং কদাচিৎ মানুষ থেকে মানুষের মাধ্যমে।[8] সামাজিক দূরত্ব স্থাপনের খারাপ দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে একাকিত্ব, হ্রাসকৃত সৃজনশীলতা এবং মানব মিথস্ক্রিয়ার সাথে যুক্ত সুফলের ব্যত্যয়।
ঐতিহাসিকভাবে লেপার কলোনি এবং ল্যাজারেত্তো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল লেপ্রোসি এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগ ছড়ানো এড়াতে সামাজিক দূরত্ব স্থাপন করার উদ্দেশ্যে। [9]