সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ
From Wikipedia, the free encyclopedia
স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে সৃষ্ট সংক্রমণের প্রতিরোধ সংক্রান্ত বিদ্যাচর্চাকে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ বলা হয়; এটি মহামারী-সংক্রান্ত বিদ্যার একটি ব্যবহারিক শাখা (তুলনামূলকভাবে কম তাত্ত্বিক)। তুলনামূলকভাবে কম স্বীকৃত এবং কম অনুমোদিত হওয়া সত্ত্বেও, এটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের পরিকাঠামোর জন্য অপরিহার্য। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং হাসপাতালের মহামারী-সংক্রান্ত বিদ্যা জনস্বাস্থ্য পরিসেবারই সমতুল, এক্ষেত্রে এই পরিসেবা সরাসরি সমাজের সঙ্গে যুক্ত না থেকে একটি নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠানেই দান করা হয়। সংক্রমণ-বিরোধী উপাদানগুলি হল - অ্যান্টিবায়োটিক (ব্যাকটেরিয়া নিরোধক), ছত্রাক নিরোধক (অ্যান্টিফাংগাল), ভাইরাস নিরোধক (অ্যান্টিভাইরাল) এবং প্রোটোজোয়া নিরোধক (অ্যান্টিপ্রোটোজোয়াল)।[1]
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ অনেকগুলি বিষয়ের সঙ্গে জড়িত - যেমন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মধ্যে সংক্রমণের বিস্তার (এটা হতে পারে রোগী - রোগী, রোগী - কর্মী, কর্মী - রোগী অথবা কর্মীদের নিজেদের মধ্যে), এর সাথে থাকে এর প্রতিরোধ (হাতের স্বাস্থ্যবিধি/হাত পরিষ্কার রাখা, পরিচ্ছন্নতা বজায়/সংক্রমণ-রোধ/নির্বীজকরণ, টিকাকরণ, নজরদারির মাধ্যমে), একটি নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মধ্যে প্রকটিত অথবা আশঙ্কা করা হচ্ছে এমন সংক্রমণের বিস্তার পরিদর্শন/অনুসন্ধান করা (নজরদারি এবং প্রাদুর্ভাব অনুসন্ধান), এবং ব্যবস্থাপনা (প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ)। এইপ্রকার ব্যবস্থার কারণে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মধ্যে একটি সাধারণ নাম চালু আছে - "সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ।"