সুকর্ণ
ইন্দোনেশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি / From Wikipedia, the free encyclopedia
সুকর্ণ (জন্ম: কুশ্ন সুশ্রদিহার্য) (৬ জুন ১৯০১ - ২১ জুন ১৯৭০)[3] ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং নেদারল্যান্ডের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের জন্য সংগঠিত সফল সংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী। তিনি ইন্দোনেশিয়ার জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃত। তিনি ১৯৪৫ সাল থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি ছিলেন। সুকর্ণ ওলন্দাজ ঔপনিবেশিক শাসনামলে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয়তাবাদী আন্দোলন এর প্রথম সারির নেতা এবং এক দশকেরও বেশি সময় রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে ওলন্দাজ কারাগারে আটক ছিলেন। পরবর্তীতে জাপানি বাহিনী ইন্দোনেশিয়ায় অভিযান পরিচালনা করলে তিনি ও তার সঙ্গীরা কারাগার থেকে মুক্তি পান। তিনি ও তার জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকারীরা জাপানিদের যুদ্ধে সাহায্য করার জন্য এক চুক্তিতে আসেন এবং বিনিময়ে জাপানি বাহিনী তাদের জাতীয়তাবাদী চেতনা বিকাশের সুযোগ দেয়। জাপানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করার পর সুকর্ণ ও মোহাম্মদ হাতা ১৭ আগস্ট ১৯৪৫ সালে ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা করেন, যেখানে সুকর্ণ প্রথম রাষ্ট্রপতি মনোনীত হন। ১৯৪৯ সালে ওলন্দাজরা ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা স্বীকৃতি প্রদানের পূর্ব পর্যন্ত সুকর্ণ জনগনকে একত্রিত করে কূটনৈতিক ও সামরিক পন্থায় পুনরায় ওলন্দাজ উপনিবেশ স্থাপনের চেষ্টাকে ব্যর্থ করেন।
ডিআর. আইআর. সুকর্ণ | |
---|---|
ইন্দোনেশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ১৮ আগস্ট ১৯৪৫ – ১২ মার্চ ১৯৬৭ | |
প্রধানমন্ত্রী | সুতান সাজারির আমির শরিফুদ্দিন মোহাম্মদ হামা আব্দল হালিম মোহাম্মদ নাসির স্যুকিম্যান উইলোপো আলী সাস্ত্রোয়ামিতজুজু বুরহানুদ্দিন হারাপ জুয়ান্ডা কার্টাইজাজা |
উপরাষ্ট্রপতি | মোহাম্মদ হামা |
উত্তরসূরী | সুহার্ত |
ইন্দোনেশিয়া সভাপতি হিসেবে ১২তম ইন্দোনেশিয়ার প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৯ জুলাই ১৯৫৯ – ২৫ জুলাই ১৯৬৬ | |
রাষ্ট্রপতি | সুকর্ণ |
পূর্বসূরী | জুয়ান্ডা কার্টাইজাজা |
উত্তরসূরী | পদ বিলুপ্ত |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | কুশ্ন সুশ্রদিহার্য (১৯০১-০৬-০৬)৬ জুন ১৯০১ সুরাবায়া, নেদারল্যান্ডস ইস্ট ইন্ডিজ[1][2] |
মৃত্যু | ২১ জুন ১৯৭০(1970-06-21) (বয়স ৬৯) জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া |
রাজনৈতিক দল | ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | ওইতারি ইনজিট গার্নাশিষ ফাতমাওয়াতি হারতিনি কার্তিনি মানুপ্পো রত্না সারি হারইয়াতি ইউরিক সানজের হেলদি জাফরে অ্যামিলিয়া দে লা রামা ব্রেলে |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | বান্দাং প্রযুক্তি ইনসটিটিউট |
স্বাক্ষর |
সংসদীয় গণতন্ত্র একটি বিশৃঙ্খল সময় পার করার পর, সুকর্ণ ১৯৫৯ সালে নির্দেশিত গণতন্ত্র নামক একটি স্বৈরাচারী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৯৬০-এর দশকের গোড়ার দিকে দেখা যায় সুকর্ণ দেশের ব্যবস্থাপনাকে নতুন একটি দিগন্তে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি যেমন একদিকে ইন্দোনেশিয় কমিউনিস্ট দলকে নিরাপত্তা দিতেন তেমনি ইসলামপন্থী ও সামরিক উপস্থিতিও মেনে নিয়েছিলেন। সুকর্ণ সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীন থেকে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী কিছু উগ্রপন্থী বৈদেশিক নীতি চালু করেছিলেন। ৩০ সেপ্টেম্বর একটি আন্দোলনে ইন্দোনেশিয়ার বামপন্থী দল ভেঙ্গে গিয়েছিল এবং সুহার্তো নামে তার এক জেনারেল তার স্থলাভিষিক্ত হন। ২১ জুন ১৯৭০ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়।