সুহার্তো
From Wikipedia, the free encyclopedia
সুহার্তো (pronunciationⓘ; জন্ম: ৮ জুন, ১৯২১ - মৃত্যু: ২৭ জানুয়ারি, ২০০৮) যোগ্যকর্তার গোদিয়ান অঞ্চলের কেমুসুক গ্রামে জন্মগ্রহণকারী ইন্দোনেশিয়ার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ছিলেন।[2] ১৯৬৭ সালে সুকর্ণের কাছ থেকে ক্ষমতা গ্রহণের পর সুদীর্ঘ ৩১ বছর ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে শাসন কার্য পরিচালনা করেন।
সুহার্তো | |
---|---|
ꦯꦸꦲꦂꦠ | |
ইন্দোনেশিয়ার ২য় রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ১২ মার্চ, ১৯৬৭ - ২১ মে, ১৯৯৮ ২৭ মার্চ, ১৯৬৮ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত | |
উপরাষ্ট্রপতি | নবম হামেংকুবুওনো আদম মালিক উমর উইরাহাদিকুসুমা সুধর্মনো ত্রাই সুতৃষ্ণ বি. জে. হাবিবি |
পূর্বসূরী | সুকর্ণ |
উত্তরসূরী | বি. জে. হাবিবি |
জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনের ১৬শ মহাসচিব | |
কাজের মেয়াদ ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৯২ – ২০ অক্টোবর, ১৯৯৫ | |
পূর্বসূরী | দব্রিকা কোসিচ |
উত্তরসূরী | আর্নেস্টো সাম্পার পিজানো |
ইন্দোনেশীয় সেনাবাহিনীর ৪র্থ কমান্ডার | |
কাজের মেয়াদ ১৯৬৯ – ১৯৭৩ | |
পূর্বসূরী | আব্দুল হারিস নাসুশন |
উত্তরসূরী | মারাদেন পঙ্গাবিন |
ইন্দোনেশীয় সেনাবাহিনীর ৮ম চীফ অব স্টাফ | |
কাজের মেয়াদ ১৯৬৫ – ১৯৬৭ | |
পূর্বসূরী | প্রণতো রেকসোসামুদ্র |
উত্তরসূরী | মারাদেন পঙ্গাবিন |
১৪শ ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ মার্চ, ১৯৬৬ – সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ | |
রাষ্ট্রপতি | সুকর্ণ সুহার্তো |
পূর্বসূরী | এম. সারবিনি |
উত্তরসূরী | মারাদেন পঙ্গাবিন |
আর্মড ফোর্স এন্ড স্ট্র্যাটেজিক রিজার্ভের (কস্ত্রাদ) ১ম কমান্ডার | |
কাজের মেয়াদ ১৯৬১ – ১৯৬৫ | |
পূর্বসূরী | পদ সৃষ্ট |
উত্তরসূরী | উমর উইরাহা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | (১৯২১-০৬-০৮)৮ জুন ১৯২১ কেমুসুক, ওলন্দাজ ইস্ট ইন্ডিজ |
মৃত্যু | ২৭ জানুয়ারি ২০০৮(2008-01-27) (বয়স ৮৬) জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া |
জাতীয়তা | ইন্দোনেশীয় |
রাজনৈতিক দল | গোলকার |
দাম্পত্য সঙ্গী | সিতি হার্তিনাহ (বিবাহ: ১৯৪৭-১৯৯৬; মৃত্যু) |
সন্তান | সিতি হারদিয়ান্তি রুকমানা[1] সিজিত হারজোজুদান্তো বামবাং ত্রিহাতমদজো তিতিয়েক সুহার্তো টমি সুহার্তো সিতি হাতামি এনদাং আদিনিংসি |
ধর্ম | সুন্নি ইসলাম |
স্বাক্ষর | |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য | ইন্দোনেশিয়ান ন্যাশনাল আর্মড ফোর্সেস |
শাখা | ইন্দোনেশীয় সেনাবাহিনী |
পদ | টিএনআই সেনাবাহিনীর জেনারেল |
ওলন্দাজ ঔপনিবেশিক আমলে জাভাভাষী মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও জন্মের পরপরই তার মা-বাবার মধ্যে বৈবাহিক বিচ্ছেদ ঘটে।[3] ইন্দোনেশিয়ায় জাপানী আগ্রাসনকালীন সময়ে তিনি জাপানভিত্তিক ইন্দোনেশীয় নিরাপত্তা বাহিনীতে কাজ করেন। ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতার মুহুর্তে নবগঠিত ইন্দোনেশীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। স্বাধীনতার পর তিনি মেজর জেনারেল পদবী লাভ করেন। ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৫ তারিখে সুহার্তো’র নেতৃত্বে অভ্যুত্থান পরিচালিত হয় ও ইন্দোনেশীয় কমিউনিস্ট দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।[4] এরপর সেনাবাহিনী সমাজতন্ত্র বিরোধী তৎপরতা চালায় যাকে সিআইএ বিংশ শতকের অন্যতম নিকৃষ্টতম গণহত্যারূপে আখ্যায়িত করে।[5] তিনি ইন্দোনেশিয়ার জাতির জনক সুকর্ণের কাছ থেকে ক্ষমতা নিজ হাতে তুলে নেন। ১৯৬৭ সালে দেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনীত হন ও পরের বছর স্থায়ীভাবে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে সুহার্তো’র রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেশে বেশ সমর্থন পায়। কিন্তু বেশ কয়েকবার অর্থনৈতিক সঙ্কটের কবলে পড়ে তার দেশ। ফলে, মে, ১৯৯৮ সালে দেশব্যাপী গণবিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটে। ২০০৮ সালে তার দেহাবসান ঘটে।