সুরাবায়া
ইন্দোনেশিয়ার শহর / From Wikipedia, the free encyclopedia
সুরাবায়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশের প্রাদেশিক রাজধানী শহর ও সামুদ্রিক বন্দর। ভৌগোলিকভাবে এটি ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণভাগে জাভা দ্বীপের উত্তর-পূর্ব উপকূলে মাস নদীর মোহনাতে অবস্থিত। এটি জাকার্তার পরে ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী। সুরাবায়া মূল শহরে ৩ লক্ষের বেশি অধিবাসী এবং বৃহত্তর সুরাবায়া মহানগর এলাকাতে ১ কোটির বেশি লোক বাস করে।
সুরাবায়া সুরোবোয়ো | |
---|---|
শহর | |
ডাকনাম: দ্য সিটি অব হিরোজ | |
নীতিবাক্য: স্পার্কলীং সুরাবায়া | |
পূর্ব জাভাতে সুরাবায়ার অবস্থান | |
ইন্দোনেশিয়াতে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৭°১৫′৫৫″ দক্ষিণ ১১২°৪৪′৩৩″ পূর্ব | |
দেশ | ইন্দোনেশিয়া |
প্রদেশ | পূর্ব জাভা |
Settled | ৩১শে মে, ১২৯৩ |
সরকার | |
• নগরপাল | ত্রি রিস্মাহারিনি (PDI-P) |
• উপ-নগরপাল | উইষনু সাকতি বুয়ানা |
আয়তন | |
• শহর | ৩৭৪.৭৮ বর্গকিমি (১৪৪.৭০ বর্গমাইল) |
• মহানগর | ১,৮০৫.০৮ বর্গকিমি (৬৯৬.৯৫ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৫ মিটার (১৬ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১২ [1]) | |
• শহর | ৩১,১৪,৭০০ |
• জনঘনত্ব | ৮,৩০০/বর্গকিমি (২২,০০০/বর্গমাইল) |
• মহানগর | ৫৬,২২,২৫৯ |
• মহানগর জনঘনত্ব | ৩,১০০/বর্গকিমি (৮,১০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | WIB (ইউটিসি+৭) |
এলাকা কোড | +৬২ ৩১ |
যানবাহন নিবন্ধন | L |
ওয়েবসাইট | surabaya.go.id |
সুরাবায়া ১৪শ শতক থেকেই পূর্ব জাভা দ্বীপ ও ইন্দোনেশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র। এটি জাভা দ্বীপের নগরীগুলিকে সংযুক্তকারী মহাসড়ক ও রেলপথ ব্যবস্থার একটি প্রান্তসীমায় অবস্থিত। এখান থেকে রপ্তানিকৃত প্রধান দ্রব্য হল চিনি। এছাড়া তামাক, কফি, ভুট্টা, পশুর চামড়া ও তাপিওকাও রপ্তানি করা হয়। জাহাজনির্মাণ, যন্ত্রপাতি নির্মাণ, বস্ত্র, কাচ ও ধাতব সামগ্রী নির্মাণসহ খাদ্য ও খনিজ তেল (পেট্রোলিয়াম) প্রক্রিয়াজাতকরণ সুরাবায়ার প্রধান কিছু শিল্প। সুরাবায়ার বৃহৎ পোতাশ্রয়টি সমুদ্রবাঁধ দিয়ে সুরক্ষিত এবং এখানে অনেকগুলি ভাসমান জেটি, জাহাজঘাট ও গুদাম আছে। নিকটস্থ মাদুরা দ্বীপ দ্বারা সুরক্ষিত রোডস্টেড নামের একটি উন্মুক্ত পোতাশ্রয়ে জাহাজ ভিড়তে পারে। শহরে ইন্দোনেশিয়ার ২য় প্রাচীনতম আয়েরলাঙ্গা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৫৪), পেত্রা খ্রিস্টিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৬৫) এবং সুরাবায়া প্রযুক্তি ইন্সটিটিউট (১৯৬০) নামের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। এখানে ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর প্রধান ঘাঁটিটি অবস্থিত।
ওলন্দাজরা ১৮শ শতকে শহরটি নিয়ন্ত্রণে নেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগ পর্যন্ত সুরাবায়া ওলন্দাজ পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নৌ-ঘাঁটি ছিল। বিশ্বযুদ্ধের সময় পোতাশ্রয়ের বহু স্থাপনার ক্ষতি হয়। ১৯৪২ সালে জাপানিরা শহরটি দখল করে নেয় এবং এর দুই বছর মিত্রশক্তি শহরটি নিয়ন্ত্রণে আনে। ১৯৪৫ সালে যুদ্ধশেষে ইন্দোনেশীয় জাতীয়তাবাদীরা শহরটি ছিনিয়ে নেওয়ার পরে ওলন্দাজরা সাময়িকভাবে এটি পুনরায় করায়ত্ত করে। ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা সংগ্রামে (১৯৪৫-১৯৪৯) শহরটির আবারও ক্ষয়ক্ষতি হয়। যুদ্ধশেষে এটিকে স্বাধীন ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্রের অঙ্গীভূত করে নেওয়া হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামে সুরাবায়ার যুদ্ধের গুরুত্বের কারণে এটি "বীরের শহর" নামেও পরিচিত। ইন্দোনেশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি সুকর্ণ-র জন্মস্থান হিসাবেও সুরাবায়া পরিচিত।