বাংলাদেশে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীজনিত অবরুদ্ধকরণ
From Wikipedia, the free encyclopedia
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর প্রথম সংক্রমণ ঘটে ৮ই মার্চ ২০২০ সালে। এরপর থেকে ধীরে ধীরে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ সরকার ২২ মার্চ এক ঘোষণায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে।[1] পরবর্তীতে তা ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ও পরে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধীত করা হয়।[2] অতঃপর পুনরায় তা ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধীত করা হয়।[3] এরপরে পঞ্চম দফায় ছুটি ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়।[4] ষষ্ঠ দফায় এই ছুটি ১৬ মে পর্যন্ত এবং সর্বশেষ সপ্তম দফায় ৩০ মে পর্যন্ত বর্ধিত হয়।[5][6][7] এর মধ্যে ২৪-২৬ মে ঈদের ছুটি ছিল।[8] সাধারণ ছুটির মধ্যে সারা দেশেই পণ্য পরিবহন, চিকিৎসা ইত্যাদি অতি-প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ছাড়া গণপরিবহনও অবরুদ্ধ করা হয়।[9]
এই নিবন্ধটিতে সাম্প্রতিক রোগের বৈশ্বিক মহামারী সম্পর্কিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। ঘটনার অগ্রগতির সাথে সাথে এই ঘটনাটি সম্পর্কিত তথ্যগুলি খুব দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে। যদিও এই নিবন্ধটি বেশ দ্রুত হালনাগাদ করা হবে, কিন্তু এটি এই বিষয়টি নিশ্চিত করে না যে এখানে রোগের বৈশ্বিক মহামারী সম্পর্কিত সর্বশেষ সকল তথ্য পাওয়া যাবে। |
২০২০ বাংলাদেশে অবরুদ্ধকরণ | |
---|---|
তারিখ | সাধারণ ছুটি: ২৬ মার্চ ২০২০ (2020-03-26)– ৩০ মে ২০২০ (2020-05-30) (৩ বছর, ৮ মাস, ১ সপ্তাহ ও ৬ দিন)। রোগ বিস্তার রোধে সাধারণ ছুটি ঘোষিত হয়, তবে পুরো দেশকে অবরুদ্ধকরণ করা হয়নি। সংক্রমণের পরিধি বিবেচনা করে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা অবরুদ্ধ করা হয়েছে। |
অবস্থান | বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল, জেলা |
কারণ | বাংলাদেশে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারী |
লক্ষ্যসমূহ | বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব হ্রাস করা |
প্রক্রিয়াসমূহ |
|
দেশজুড়ে লকডাউন বা অবরুদ্ধকরণ আরোপ করা না হলেও আক্রান্ত বাড়ি, প্রয়োজনে জেলা, উপজেলা ইত্যাদি অবরুদ্ধকরণ করা হয়। ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ২৯টি জেলা সম্পূর্ণ এবং ১৯টি জেলা আংশিকভাবে অবরুদ্ধ করা হয়েছে।[10] ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মোট ৫৮টি জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।[11]
পরবর্তী আক্রান্তের ভিত্তিতে সবুজ, হলুদ ও লাল অঞ্চলে ভাগ করা হয় এবং অবরুদ্ধকরণ করা হয়।[12] এরপরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হলেও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা ধীরে ধীরে তুলে নেয়া হয়।[13]