সঙ্গনিরোধ
কোনও সংক্রামক ব্যাধি বা মহামারীর বিস্তার বন্ধ করার উদ্দেশ্যে মানুষ (এবং/কিংবা পণ্যের) চলাচলের উ / From Wikipedia, the free encyclopedia
সঙ্গনিরোধ বা সঙ্গরোধ বলতে কোনও সংক্রামক ব্যাধি বা মহামারীর বিস্তার প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে মানুষের মুক্তভাবে চলাচল এবং কখনও কখনও কোনও বিশেষ দ্রব্যাদির পরিবহনের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাকে বোঝায়।[1] একে ইংরেজি পরিভাষাতে কোয়ারেন্টিন[টীকা 1] (ইংরেজি: Quarantine) বলা হয়। যদি কেউ সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে এবং যদি তাকে নিশ্চিতভাবে রোগনির্ণয় করার সুযোগ না থাকে, তখন রোগ এবং অসুস্থতা নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি তাকে/তাদেরকে সঙ্গনিরোধ অবস্থায় রাখা হয়।[2] সঙ্গনিরোধ ও অন্তরণ (Isolation আইসোলেশন) দুইটি কাছাকাছি ধারণা। তবে এই দুইয়ের মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। সঙ্গনিরোধ হলো সম্ভাব্য (কিন্তু নিশ্চিত নয় এমন) ঝুঁকিপূর্ণ রোগীকে সাবধানতাবশত আলাদা করে রাখা। অন্যদিকে নিশ্চিতভাবে আক্রান্ত এবং সংক্রমিত ব্যক্তিকে সুস্থ জনগোষ্ঠী থেকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা করে রাখার নামই অন্তরণ (বা বিচ্ছিন্নকরণ বা পৃথককরণ)।[2]
সঙ্গনিরোধকে করদোঁ সানিতের (cordon sanitaire) অর্থাৎ স্বাস্থ্যবেষ্টনীর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই দুইটি পদগুচ্ছই একে অপরের কাছাকাছি; তবে স্বাস্থ্যবেষ্টনী বা করদোঁ সানিতের বলতে সুনির্দিষ্টভাবে সংক্রামক ব্যাধির বিস্তার থামাবার জন্য কোনও নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকার মানুষজনের চলাচলকে বাধা দেওয়াকে বোঝায়।[3]
একটি মত অনুসারে ইংরেজি "কোয়ারেন্টিন" পারিভাষিক শব্দটি ইতালীয় শব্দ "কোয়ারান্তিনা" (ইতালীয়: Quarantina) থেকে এসেছে, যার অর্থ "চল্লিশ (দিন)"। মধ্যযুগে ১৫শ শতকে বিউবনিক প্লেগ রোগের মহামারীর সময়ে রোগাক্রান্ত অঞ্চল থেকে আগত জাহাজদেরকে ইউরোপের বিভিন্ন বন্দরে ৪০ দিনের জন্য পৃথক করে রাখা হত।[4]