রিভালদো
ব্রাজিলীয় ফুটবলার / From Wikipedia, the free encyclopedia
রিভালদো ভিতর বোরবা ফেরেইরা (জন্ম ১৯ এপ্রিল ১৯৭২), রিভালদো নামে পরিচিত (ব্রাজিলীয় পর্তুগিজ: [ʁiˈvawdu]), সাবেক ব্রাজিলীয় পেশাদার ফুটবলার। তিনি প্রধানত একজন আক্রমণকারী মধ্যমাঠের খেলোয়াড় কিন্তু দ্বিতীয় স্ট্রাইকার হিসেবেও খেলতেন। যদিও তিনি প্রধানত বাম পায়ে খেলতেন তবে অন্য পায়েও খেলার ক্ষমতা ছিল এবং প্রয়োজনে পার্শ্বীয় মধ্যমাঠ (ইংরেজিতে ওয়াইড মিডফিল্ডার) বা উইঙ্গার হিসেবেও খেলতেন।[1][2]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রিভালদো ভিতর বোরবা ফেরেইরা | |||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | (1972-04-19) ১৯ এপ্রিল ১৯৭২ (বয়স ৫২) | |||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম স্থান | রিসিফে, ব্রাজিল | |||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮৭ মিটার (৬ ফুট ২ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||
মাঠে অবস্থান | মধ্যমাঠের আক্রমনকারী / ফরোয়ার্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||
যুব পর্যায় | ||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৯-১৯৯০ | পাওলিস্তানো | |||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯১-১৯৯২ | সান্তা ক্রুজ | |||||||||||||||||||||||||||||||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | ||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) | |||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯১-১৯৯২ | সান্তা ক্রুজ | ৯ | (১) | |||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯২-১৯৯৩ | মোগি মিরিম | ০ | (০) | |||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৩-১৯৯৪ | → করিন্থিয়ানস (ধারে) | ৮ | (২) | |||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৪-১৯৯৬ | পালমেইরাস | ৩০ | (১৪) | |||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৬-১৯৯৭ | দেপোর্তিবো লা করুনিয়া | ৪১ | (২১) | |||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৭-২০০২ | বার্সেলোনা | ১৫৭ | (৮৬) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০০২-২০০৪ | মিলান | ২২ | (৫) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪ | → ক্রুইজেরু (ধারে) | ০ | (০) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪-২০০৭ | অলিম্পিয়াকোস | ৭০ | (৩৬) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০০৭-২০০৮ | এইকে এথেন্স | ৩৫ | (১২) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮-২০১০ | বুনিয়োদকোর | ৫৩ | (৩৩) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০১১ | সাও পাওলো | ৩০ | (৫) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০১২ | কাবুস্কর্প | ২১ | (১১) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩ | সাও কেটানো | ৭ | (০) | |||||||||||||||||||||||||||||
২০১৪-২০১৫ | মোগি মিরিম | ৮ | (১) | |||||||||||||||||||||||||||||
মোট | ৪৮১ | (২২৭) | ||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯১-১৯৯৩ | ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২০ | ১৩ | (২) | |||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৪-১৯৯৬ | ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২৩ | ৮ | (১) | |||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৩-২০০৩ | ব্রাজিল | ৭৪ | (৩৫) | |||||||||||||||||||||||||||||
অর্জন ও সম্মাননা
| ||||||||||||||||||||||||||||||||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
তিনি স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায় পাঁচ বছর খেলেন, সেখানে তিনি প্যাট্রিক ক্লুইভার্টের সাথে সফল জুটি গড়ে তুলেন এবং ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে স্প্যানিশ লা লিগা চ্যাম্পিয়নশিপ ও ১৯৯৮ কোপা দেল রে জয় করেন। বার্সেলোনার হয়ে ১৩০ গোল করে তিনি ক্লাবের নবম সর্বোচ্চ গোলদাতার আসন দখল করে আছেন।[3] জুন ২০০১ সালে ভালেনসিয়ার বিপক্ষে তার করা গোল তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লীগে বার্সেলোনাকে যোগ্যতা অর্জন করিয়েছিল, যার শেষ গোলটি করেছিলেন খেলার শেষ মিনিটে ২০-গজ দূরত্ব থেকে বাই-সাইকেল কিকে, এই হ্যাট্রিকটি প্রায়শই শ্রেষ্ঠ হ্যাটট্রিকগুলোর একটি হিসাবে বিবেচিত হয়।[1][4][5]
১৯৯৩ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত রিভালদো ব্রাজিলের হয়ে ৭৪ টি ম্যাচ খেলেছেন এবং ৩৫ টি গোল করেছেন; তিনি ব্রাজিলের সর্বকালের সপ্তম সর্বোচ্চ গোলদাতা।[6] তিনি ব্রাজিলকে ১৯৯৮ সালে ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালেে উঠতে সহায়তা করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে ব্রাজিলকে কোপা আমেরিকা জিতিয়েছেন এবং তিনি প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছিলেন। ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপ জয়ি দলটিতে রোনালদো এবং রোনালদিনহোর পাশাপাশি রিভালদোও তারকা ছিলেন। তিনি ১৯৯৮ ও ২০০২ সালের ফিফা বিশ্বকাপের অল-স্টার দলের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
তিনি তার প্রজন্মের সবচেয়ে দক্ষ ও সৃজনশীল খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন ছিলেন, রিভালদো তার বাঁকানো ফ্রি কিক, বাই সাইকেল কিক, দূর থেকে প্রচন্ড শক্তিতে বলে শট নেওয়ার ক্ষমতা, এবং গোল করা ও করানোর সক্ষমতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন।[1][2] তিনি ১৯৯৯ সালে বেলন ডি'অর এবং ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার জিতেন।[7] ২০০৪ সালে ব্রাজিলিয়ান গ্রেট পেলে কর্তৃক প্রণীত বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ জীবিত খেলোয়াড়দের তালিকা ফিফা ১০০ তে তার নাম ছিল।[8] ব্রাজিলিয়ান ফুটবল মিউজিয়াম হল অফ ফেম-এ তার নাম আছে। ২০১৪ সালের মার্চে রিভালদো পেশাদার ফুটবল থেকে অবসর গ্রহণের ঘোষণা দেন,[9] তবে ২০১৫ সালের জুন থেকে তিনি মোগি মিরিম-এর হয়ে খেলেছেন।[10] ১৪ আগস্ট, ২০১৫ তারিখে তিনি ঘোষণা করেন যে তার প্রত্যাবর্তনকাল শেষ এবং তিনি আবার অবসর গ্রহণের ঘোষণা দেন।[11] ২০১৫ সালে তিনি ইরানী-ব্রাজিলীয় যৌথ প্রযোজিত চলচ্চিত্র আই এম নট সালভ্যাদর-এ অভিনয় করেন। ২০১৮ সালে ফিফা ভিডিও গেম ফিফা ১৯-এ রিভালদোকে আইকন হিসেবে যুক্ত করা হয়।[12]