রশিদ চৌধুরী
বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী এবং অধ্যাপক / From Wikipedia, the free encyclopedia
রশিদ হোসেন চৌধুরী, যিনি রশিদ চৌধুরী নামে পরিচিত, (১ এপ্রিল ১৯৩২–১২ ডিসেম্বর ১৯৮৬) ছিলেন বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী, ভাস্কর, লেখক এবং অধ্যাপক। বাংলাদেশে শিল্পচর্চার ক্ষেত্রে জয়নুল আবেদীন প্রবর্তিত উত্তর-উপনিবেশিক পর্বে সৃজনশীল ও মৌলিকত্বে তিনি ছিলেন সর্বজন প্রশংসিত ব্যক্তিত্ব। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রজন্মের শিল্পীদের মধ্যেও অন্যতম[1] এবং পঞ্চাশের দশকে বাংলাদেশের আধুনিক শিল্প-আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে স্বকীয় শিল্পচর্চার সূচনা করেছিলেন।[2]
রশিদ চৌধুরী | |
---|---|
জন্ম | রশিদ হোসেন চৌধুরী (১৯৩২-০৪-০১)১ এপ্রিল ১৯৩২ |
মৃত্যু | ১২ ডিসেম্বর ১৯৮৬(1986-12-12) (বয়স ৫৪) ঢাকা, বাংলাদেশ |
মৃত্যুর কারণ | ফুসফুসের ক্যান্সার |
সমাধি | বাংলাদেশ |
জাতীয়তা |
|
অন্যান্য নাম | কনক |
নাগরিকত্ব |
|
শিক্ষা | স্নাতকোত্তর |
মাতৃশিক্ষায়তন | |
পেশা |
|
কর্মজীবন | ১৯৬০–১৯৮৬ |
পরিচিতির কারণ | তাপিশ্রী মাধ্যমে অনন্য অবদান |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | নিচে দেখুন |
আদি নিবাস | ফরিদপুর জেলা |
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
সন্তান |
|
পিতা-মাতা |
|
পুরস্কার | একুশে পদক ১৯৭৭ (আরও দেখুন) |
ভারত উপমহাদেশে, বিংশ শতাব্দীর তাপিশ্রী শিল্পী হিসেবে তিনি অন্যতম অগ্রগামী।[3][4] এ-মাধ্যমেই তিনি সর্বাধিক মৌলিক এবং আধুনিক শিল্পধারার চর্চাকারী হিসেবে অগ্রগণ্য। তাপিশ্রীর পাশাপাশি প্রচলিত তেলরঙ ছাড়াও তিনি কাজ করেছেন টেম্পেরা, গুয়াশ এবং জলরঙ ইত্যাদি অপ্রচলিত মাধ্যমসমূহে। দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি এবং রাষ্ট্রীয় ও সাধারণ ভবনসমূহে তাপিশ্রী মাধ্যমে বহুসংখ্যক কাজ করেছেন তিনি। এই তাপিশ্রী শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৭৭ সালে তাকে বাংলাদেশের জাতীয় এবং সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক এবং ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার প্রদান করা হয়।
রশিদ বিশ্বশিল্পের প্রাণকেন্দ্র মাদ্রিদ এবং প্যারিসে শিল্প বিষয়ক শিক্ষা গ্রহণ করায় তার শিল্পকর্মে পশ্চিমা আধুনিক শিল্পের আঙ্গিক এবং প্রাচ্যের দেশজ ঐতিহাসিক শিল্পের অবয়ব ও বর্ণের উল্লেখযোগ্য সমন্বয় ঘটেছে। তৎকালীন সময়ে ঢাকায় রঙের খুব আক্রা থাকলেও রং ব্যবহারে তার কার্পণ্য ছিল না। তার শিল্পদর্শনে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আধুনিক শিল্পের দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়। বাংলাদেশে শিল্প আন্দোলনের পাশাপাশি শিল্প-শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে তোলার পেছনেও রয়েছে তার বিশেষ অবদান। তার অনেক শিল্পকর্ম বর্তমানে দেশের ও বিদেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এবং ব্যক্তিগত সংগ্রহে সংরক্ষিত রয়েছে।