মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী
বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত, রাজনৈতিক দার্শনিক, সুফি, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক / From Wikipedia, the free encyclopedia
মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী (হাফেজ্জী হুজুর নামেও পরিচিত; ১৮৯৫ – ৭ মে ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দ; ১৩১৩ – ৮ রমজান ১৪০৭ হিজরি) ছিলেন একজন বাংলাদেশী ইসলামি পণ্ডিত ও সুফিবাদী রাজনীতিবিদ। সারাজীবন আধ্যাত্মিক সাধনা, জ্ঞান চর্চা ও শিক্ষাবিস্তারে কাটানোর পর শেষ বয়সে তিনি রাজনীতিতে আগমন করেন।[5] জীবন সায়াহ্নে তার রাজনীতিতে আগমনকে বাংলাদেশের ইসলামি রাজনীতির ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।[6] তিনি খিলাফত কায়েমের লক্ষ্যে সকলকে তওবা করার ডাক দিয়ে দুইটি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। তিনি দলটির ১ম আমীর ছিলেন। তাকে তওবার রাজনীতির প্রবর্তক বলা হয়।[2][7] তিনিই বাংলাদেশের প্রথম ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব যিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।[8] এরশাদ বিরোধী আন্দোলনেও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এবং সেজন্য তিনি সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন।[9] তাকে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দেওবন্দি আলেম বিবেচনা করা হয়।[3]
আমীরে শরিয়ত মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী | |
---|---|
১ম আমীর, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন | |
কাজের মেয়াদ ২৯ অক্টোবর ১৯৮১ – ৭ মে ১৯৮৭ | |
উত্তরসূরী | আহমাদুল্লাহ আশরাফ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৮৯৫ লুধুয়া, রায়পুর |
মৃত্যু | ৭ মে ১৯৮৭(1987-05-07) (বয়স ৯১–৯২) সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, ঢাকা |
সমাধিস্থল | মাকবারায়ে হাফেজ্জী হুজুর |
জাতীয়তা |
|
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল | সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ |
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
সন্তান | ৪ ছেলে ও ৬ মেয়ে; আহমাদুল্লাহ আশরাফ ও আতাউল্লাহ হাফেজ্জী সহ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
পিতামাতা |
|
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
প্রধান আগ্রহ | |
উল্লেখযোগ্য ধারণা | তওবার রাজনীতি[2] |
উল্লেখযোগ্য কাজ | |
শিক্ষক | আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি, ইজাজ আলী আমরুহী, কারী মুহাম্মদ তৈয়ব, বদরে আলম মিরাটি |
অন্য নাম | হাফেজ্জী হুজুর[3] |
ঊর্ধ্বতন পদ | |
এর শিষ্য | আশরাফ আলী থানভী[4] |
যাদের প্রভাবিত করেন | |
মাজাহির উলুম সাহারানপুর ও দারুল উলুম দেওবন্দে শিক্ষা অর্জন করে দেশে ফিরে তিনি দেওবন্দের অনুকরণে বড় কাটরা মাদ্রাসা, লালবাগ মাদ্রাসা, ফরিদাবাদ মাদ্রাসা, মাদ্রাসায়ে নূরিয়া প্রতিষ্ঠা করেন।[10] কথিত আছে, হাজার হাজার হাফেজী ও কওমি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা ছিল।[3] তিনি আশরাফ আলী থানভীর খলিফা ছিলেন। আধ্যাত্মিক সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা ছিল। তার শিষ্যদের মধ্যে আজিজুল হক, সৈয়দ ফজলুল করিম, ফজলুল হক আমিনী, আবদুল হাই পাহাড়পুরী অন্যতম।[11]