মহামতি অ্যালফ্রেড
From Wikipedia, the free encyclopedia
মহামতি অ্যালফ্রেড (ইংরেজি: Alfred the Great; ৮৪৮/৪৯ – ২৬ অক্টোবর ৮৯৯) ছিলেন ওয়েস্ট স্যাক্সন রাজা (৮৭১ – আনুমানিক ৮৮৬) এবং তারপরে অ্যাংলো-স্যাক্সন রাজা (আনুমানিক ৮৮৬ – ৮৯৯)। তিনি ছিলেন রাজা এথেলউলফের কনিষ্ঠ পুত্র। এথেলউলফের মৃত্যুর সময় অ্যালফ্রেড ছিলেন নাবালক। অ্যালফ্রেডের তিন অগ্রজ এথেলবাল্ড, এথেলবার্ট ও এথেলরেড অ্যালফ্রেডের পূর্বে পর্যায়ক্রমে রাজত্ব করেছিলেন।[3]
মহামতি অ্যালফ্রেড | |
---|---|
অ্যাংলো-স্যাক্সন রাজা | |
রাজত্ব | আনুমানিক ৮৮৬ – ২৬ অক্টোবর, ৮৯৯ |
উত্তরসূরি | এডওয়ার্ড দি এল্ডার |
পশ্চিম স্যাক্সন রাজা | |
রাজত্ব | এপ্রিল ৮৭১ – আনুমানিক ৮৮৬ |
পূর্বসূরি | প্রথম এথেলরেড |
জন্ম | ৮৪৮–৪৯ ওয়ান্টাজ, বার্কশায়ার[lower-alpha 1] |
মৃত্যু | ২৬ অক্টোবর, ৮৯৯ (বয়স ৫০ বা ৫১) |
সমাধি | আনুমানিক ১১০০ |
দাম্পত্য সঙ্গী | এয়ালহ্সউইথ |
বংশধর |
|
রাজবংশ | ওয়েসেক্স |
পিতা | এথেলউলফ, ওয়েসেক্সের রাজা[2] |
মাতা | অসবার[2] |
সিংহাসনে আরোহণের পর অ্যালফ্রেডকে বেশ কয়েক বছর অতিবাহিত করতে হয় ভাইকিং আক্রমণ প্রতিরোধ করতে। ৮৭৮ সালে তিনি এডিংটনের যুদ্ধে এক চূড়ান্ত বিজয় লাভ করেন এবং ভাইকিংদের সঙ্গে একটি চুক্তি করেন।[4] এই চুক্তির ফলেও ইংল্যান্ডের উত্তরে ডেন্ল সৃষ্টি হল।[5] ভাইকিং নেতা গাথরামের খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরণেরও তত্ত্বাবধান করেন অ্যালফ্রেড। ভাইকিংদের আক্রমণের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে তিনি নিজের রাজ্যকে রক্ষা করে ইংল্যান্ডের একজন প্রভাবশালী শাসক হয়ে ওঠেন।[6] নবম শতাব্দীর ওয়েলশ পণ্ডিত ও বিশপ অ্যাসেরের রচনায় অ্যালফ্রেডের জীবনকথা বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে।
বিদ্বান ও দয়ালু ব্যক্তি হিসেবে অ্যালফ্রেডের খ্যাতি ছিল। তিনি শিক্ষাদানে উৎসাহ দিতেন। অ্যালফ্রেড লাতিনের পরিবর্তে প্রাচীন ইংরেজি ভাষায় প্রাথমিক শিক্ষাদানের পক্ষপাতী ছিলেন।[7] এছাড়া তিনি আইন ব্যবস্থা, সামরিক পরিকাঠামো ও তাঁর প্রজাদের জীবনযাত্রার মানের উন্নতিসাধন করেছিলেন। ষোড়শ শতাব্দীতে তাঁকে "মহামতি" আখ্যা দেওয়া হয়।