ব্রহ্মপুত্র নদ
এশিয়া মহাদেশের একটি নদ / From Wikipedia, the free encyclopedia
ব্রহ্মপুত্র নদ এশিয়া মহাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। সংস্কৃত ভাষায় ব্রহ্মপুত্রের অর্থ "ব্রহ্মার পুত্র"। এজন্য একে "ব্রহ্মপুত্র নদ" বলা হয়। ব্রহ্মপুত্রের পূর্ব নাম ছিল লৌহিত্য।[2]
ব্রহ্মপুত্র নদ | |
দেশসমূহ | চীন, ভারত, বাংলাদেশ |
---|---|
রাজ্যসমূহ | আসাম, অরুণাচল প্রদেশ |
স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল | তিব্বত |
উপনদী | |
- বাঁদিকে | দিবাং নদী, লোহিত নদী, ধানসিঁড়ি নদী |
- ডানদিকে | কামেং নদী, রায়ডাক নদী, জলঢাকা নদী, ধরলা নদী, তিস্তা নদী |
নগর | গুয়াহাটি,তেজপুর,শিলঘাট, জামালপুর, ময়মনসিংহ |
উৎস | শিমায়াং-দাং হিমবাহ [1] |
- অবস্থান | হিমালয়, চীন |
- উচ্চতা | ৫,২১০ মিটার (১৭,০৯৩ ফিট) |
- স্থানাঙ্ক | ৩০°২৩′ উত্তর ৮২°০′ পূর্ব |
মোহনা | বঙ্গোপসাগর |
- অবস্থান | গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ, বাংলাদেশ |
- উচ্চতা | ০ ফিট (০ মিটার) |
- স্থানাঙ্ক | ২৫°১৩′২৪″ উত্তর ৮৯°৪১′৪১″ পূর্ব |
দৈর্ঘ্য | ২,৮৫০ কিলোমিটার (১,৭৭০ মাইল) [1] |
অববাহিকা | ৬,৫১,৩৩৪ বর্গকিলোমিটার (২,৫১,৫০০ বর্গমাইল) |
প্রবাহ | |
- গড় | ১৯,৩০০ m³/s (৬,৮১,৬০০ ft³/s) |
- সর্বোচ্চ | ১,০০,০০০ m³/s (৩৫,৩১,৫০০ ft³/s) |
গঙ্গা (হলুদ), ব্রহ্মপুত্র (গোলাপি) ও মেঘনা (সবুজ) নদীর অববাহিকা।
|
ব্রহ্মপুত্রের উৎপত্তি হিমালয় পর্বতমালার কৈলাস শৃঙ্গের নিকট জিমা ইয়ংজং হিমবাহে, যা তিব্বতের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত।[3] জাঙপো নামে তিব্বতে পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে এটি ভারতের অরুণাচল প্রদেশে প্রবেশ করে যখন এর নাম হয়ে যায় শিয়াং বা সিয়ং। তারপর আসামের উপর দিয়ে দিহাং নামে বয়ে যাবার সময় এতে দিবং এবং লোহিত নামে আরো দুটি বড় নদী যোগ দেয় এবং তখন সমতলে এসে চওড়া হয়ে এর নাম হয় ব্রহ্মপুত্র। ব্রহ্মপুত্র হিমালয় পর্বতের কৈলাস শৃঙ্গের নিকটে মানস সরোবর থেকে উৎপন্ন হয়ে তিব্বত ও আসামের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুড়িগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের কাছে ব্রহ্মপুত্র দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে জামালপুর ও ময়মনসিংহ জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভৈরববাজারের দক্ষিণে মেঘনায় পড়েছে।
১৭৮৭ সালে ভূমিকম্পের কারণে ব্রহ্মপুত্র নদ এর তলদেশ উত্থিত হওয়ার কারণে এর দিক পরিবর্তিত হয়ে যায়। ১৭৮৭ সালের আগে এটি ময়মনসিংহের উপর দিয়ে আড়াআড়িভাবে বয়ে যেত। পরবর্তীতে এর নতুন শাখা নদীর সৃষ্টি হয়, যা যমুনা নামে পরিচিত। উৎপত্তিস্থল থেকে এর দৈর্ঘ্য ২৮৫০ কিলোমিটার। ব্রহ্মপুত্র নদ এর সর্বাধিক প্রস্থ ১০৪২৬ মিটার (বাহাদুরাবাদ)। এটিই বাংলাদেশের নদীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছে। ব্রহ্মপুত্রের প্রধান শাখা যমুনা। ব্রহ্মপুত্রের আরেক শাখা নদী বানার। এক কালের প্রশস্ত ব্রহ্মপুত্র নদ শীর্ণকায় (২০১১ সালে)।