বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন
From Wikipedia, the free encyclopedia
গেটস ফাউন্ডেশন[1] (পূর্ণনাম: বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন), পূর্বতন উইলিয়াম এইচ. গেটস ফাউন্ডেশন; যা বিল এবং মেলিন্ডা গেটস দম্পতির প্রতিষ্ঠিত একটি আমেরিকান বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। ওয়াশিংটনের সিয়াটলে এটি ২০০০ সালে চালু হয়েছিল। এবং প্রতিষ্ঠানটির সম্পদের পরিমাণ $46.8 বিলিয়ন[2] থাকায় বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারী ফাউন্ডেশন হিসাবে সংবাদে প্রকাশিত হয়[3]। ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক লক্ষ্যগুলি হলো, বিশ্বব্যাপী, স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধি ও চরম দারিদ্র্য হ্রাস; এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, শিক্ষাগত সুযোগগুলি প্রসারিত করা এবং তথ্য প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার বা প্রবেশের সুযোগ প্রদান। প্রতিষ্ঠানটি তার ৩জন Trustees বা জিম্মাদারগণদ্বারা নিয়ন্ত্রিত: বিল ও মেলিন্ডা গেটস এবং ওয়ারেন বাফেট। অন্যান্য প্রধান কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন সহ-চেয়ার উইলিয়াম এইচ. গেটস, সিনিয়র এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক সুজম্যান[4][5]।
বিশ্বকোষীয় পর্যায়ে যেতে এই নিবন্ধে আরো বেশি অন্য নিবন্ধের সাথে সংযোগ করা প্রয়োজন। |
২০০৭ সালে, এর প্রতিষ্ঠাতাবৃন্দ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় এবং ওয়ারেন বাফেট প্রথম বৃহত্তম উদারপ্রেমী হিসাবে স্থান পেয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গেটস কেমব্রিজ বৃত্তি প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন সামাজিক, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার বিভিন্ন উন্নয়নের বুদ্ধিদীপ্ত অলঙ্করণ ও সহযোগিতা প্রদান করেছে।
এশিয়া-আফ্রিকার অনুন্নত দেশসমূহে প্রতিবছর বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। একটি ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, সচেতন, শিক্ষিত ও স্বাস্থ্যবান বিশ্ব গড়ে তোলা এ সংস্থার প্রধান উদ্দেশ্য। সংস্থাটি টেকসই শিক্ষা ব্যবস্থা, অনুন্নত দেশগুলোতে স্বাস্থ্য খাতে অনুদান, কৃষি খাতের আধুনিকায়ন, প্রাণঘাতী ব্যাধির ভ্যাকসিন আবিষ্কারে বিনিয়োগ ও অনুন্নত দেশগুলোতে অর্থনৈতিক সাহায্য দিয়ে থাকে। বিস্ময়কর হলেও সত্য যে, বিল গেটসের দাতব্য সংস্থা কোনো ধর্মীয় কিংবা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য তাদের দাতব্য কাজ চালায় না, পৃথিবীর প্রতি নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকেই তারা এমনটা করে থাকে।