বজ্রযান
তিব্বৎ, ভুটান এবং পূর্ব এশিয়াকে দেওয়া ভারতীয় বৌদ্ধ তান্ত্রিক ঐতিহ্য / From Wikipedia, the free encyclopedia
বজ্রযান ( সংস্কৃত: वज्रयान, "বজ্রবাহী যান", "হীরকযান" বা "অবিনাশী যান") এবং সাথে অন্যান্য নাম সমূহ যেমনঃ মন্ত্রযান, গুহ্যমন্ত্রযান , তন্ত্রযান, গুপ্ত মন্ত্র, তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্ম, এবং গুপ্ত বৌদ্ধধর্ম, বৌদ্ধ ধর্মের এমন শাখা বা ঐতিহ্যকে নির্দেশ করে যা তন্ত্র এবং "গোপন মন্ত্র" এর সাথে যুক্ত , যা মধ্যযুগীয় ভারতীয় উপমহাদেশে বিকাশ লাভ করেছিল এবং তিব্বত, নেপাল, অন্যান্য হিমালয় রাজ্য, পূর্ব এশিয়া এবং মঙ্গোলিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিলো।
বজ্রযান এর আচার-আচরণ ও ধর্মশাস্ত্র সাধারণত বৌদ্ধধর্মের নির্দিষ্ট শাখা বা বংশের সাথে যুক্ত যা শাখার সদস্য বা বংশধারীদের ধর্মানুশাসন এর মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে। অন্যান্যরা সাধারণত এই ধর্মানুশাসন ও ধর্মশাস্ত্র সমূহকে বৌদ্ধ তন্ত্র হিসাবে চিহ্নিত করে। [1] এই ধর্মানুশাসন এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন মন্ত্র, ধরণী, মুদ্রা, মন্ডল এর ব্যবহার এবং বিভিন্ন দেবতা ও বুদ্ধের মুর্তি তৈরি করা ও চিত্রায়ন করা।
প্রথাগত বজ্রযান সূত্র বলে যে, তন্ত্র এবং বজ্রযানের ধর্মানুশাসন বা ধারার চর্চা শুরু হয়েছিলো শাক্যমুনি বুদ্ধ এবং অন্যান্য ধর্মগুরু যেমন বোধিসত্ত্ব বজ্রপানি এবং পদ্মসম্ভব এর শিক্ষা ও অনুশাসন এর মাধ্যমে। বৌদ্ধ শিক্ষার সমসাময়িক ইতিহাসবিদরা বিবেচনা করেন যে এই ধর্মানুশাসন মধ্যযুগীয় ভারতের তান্ত্রিক যুগে (সি. ৫ম শতাব্দীর পরে) শুরু হয়েছিলো। [2]
বজ্রযান ধর্মগ্রন্থ অনুসারে, বজ্রযান শব্দটি বৌদ্ধধর্ম অনুসারে মোক্ষলাভের তিনটি পথের/উপায়ের বা বাহন এর মধ্যে একটিকে বোঝায়, এই তিন বাহনের অন্য দুটি বাহন হল শ্রাবকায়ান ( যা হিনায়ান নামেও পরিচিত) এবং মহাযান ( যা পারমিতায়ান নামে পরিচিত) ।
বর্তমানে বেশ কিছু বৌদ্ধ তান্ত্রিক প্রথা যেমন তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্ম, চাইনিজ গুপ্ত বৌদ্ধধর্ম, শিঙ্গন বৌদ্ধধর্ম এবং নেওয়ার বৌদ্ধধর্ম এর অনুশীলনের প্রচলন রয়েছে।