ধর্মের ইতিহাস
ইতিহাসের বিভিন্ন দিক / From Wikipedia, the free encyclopedia
ধর্মের ইতিহাস বলতে বুঝায় মানুষের ধর্মীয় অভিজ্ঞতা এবং ধারনাগুলোর লিখিতরূপ, যা বর্তমানে সংরক্ষিত রয়েছে। ধর্মীয় ইতিহাসের প্রাথমিক যুগ শুরু হয় প্রায় ৫২০০ বছর আগে (৩২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ), যখন মানুষ লেখার পদ্ধতি আবিষ্কার করে।[1] ধর্মের পূর্ব ইতিহাসের লিখিত দলিল না থাকায় তা মানুষের বিদ্যমান ধর্মীয় বিশ্বাসের গবেষণার সাথে জড়িত। ধর্মের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তুলনামূলক ধর্মীতত্ত্ব নিয়ে যে কেউ গবেষণা করতে পারেন। ধর্মের লিখিত রূপ লেখার সময় বা অবস্থান নির্বিশেষে ধর্মীয় গ্রন্থকে সুষম মানদণ্ডে উন্নীত করতে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। এছাড়া এর মাধ্যমে প্রার্থনা ও ধর্মীয় নিয়মগুলো এর অনুসারীরা সহজে স্মরণে রাখতে পারেন। বাইবেলের ক্ষেত্রে শতাব্দীকাল পর্যন্ত একাধিক মৌখিক গ্রন্থে সংরক্ষণ করা হয়েছিলো।[2]
ধর্ম ইতিহাস
উৎপত্তিগত ক্রমবিন্যাস |
নৃবিদ্যা |
প্রাগৈতিহাসিক প্রাচীন নিকট পূর্ব *প্রাচীন মিশর *সেমিটিক ইন্দো-ইউরোপীয় *বৈদিক হিন্দুধর্ম *গ্রিকো রোমান *সেল্টিক *জার্মান অক্ষীয় বয়স *বেদান্ত *শ্রমতা *ধর্ম *তাও *হেলেনিজম *মনস্তত্ত্ব *দ্বৈতবাদ *একেশ্বরবাদ
রেনেসাঁ সংস্কার কারণ যুগ নতুন ধর্মীয় আন্দোলন *মহা জাগ্রতকরণ মৌলবাদ নতুন যুগ উত্তর-আধুনিকাকতাবাদ |
☢ |
আব্রাহামিক
*ইহুদীধর্ম *খ্রিস্টধর্ম *ইসলাম *বাহী বিশ্বাস ইন্ডিক *হিন্দুধর্ম *বৌদ্ধধর্ম *জৈন ধর্ম *শিখবাদ দূর প্রাচ্য *তাওইজম *কনফুনিয়াইজম *শিন্টো নিওপ্যাগান উইক্কা |
"ধর্ম" ধারণাটি ষোড়শ ও সপ্তদশ শতকে গঠিত হয়েছিল,[3][4] যদিও বাইবেল, কুরআন এবং অন্যান্য প্রাচীন পবিত্র গ্রন্থগুলোর মধ্যেও ধর্মের ধারণা ছিল না, এমনকি এই পবিত্র গ্রন্থে লিখিত বিষয়াদি বা অনুসরণকারী মানুষের সংস্কৃতিতেও না।[5][6]
একবিংশ শতাব্দীতে ব্যবহৃত "ধর্ম" শব্দটির অ-ইউরোপীয় ভাষার মধ্যে পূর্ব-উপনিবেশিক অনুবাদ নেই। নৃতত্ত্ববিদ ড্যানিয়েল ডুবুইসন লিখেছেন, "পশ্চিমা দেশ ও ধর্মের ইতিহাসগুলো কীভাবে তার ধর্মের অধীনে 'ধর্ম' নামে অভিহিত করেছে ... যা একেবারেই অনন্য, যা শুধুমাত্র নিজের এবং নিজের ইতিহাসের জন্য উপযুক্ত হতে পারে"।[7] "ধর্মীয়" বিষয়ের সাথে অন্যান্য সংস্কৃতির মিথষ্ক্রিয়ার ইতিহাস, যা প্রথমত ইউরোপে খ্রিস্টানদের প্রভাবের ফলে বিকশিত হয়েছিল।[8][যাচাই করার জন্য উদ্ধৃতি প্রয়োজন]