ঠাট
রাগের দশটি শ্রেণিবিন্যাস / From Wikipedia, the free encyclopedia
ঠাট বা মেল হচ্ছে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের এক ধরনের সাঙ্গীতিক প্রকাশ যা মূলতঃ রাগ সঙ্গীতকে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। ঠাট এক বিশেষ শ্রেণীর স্বর সমগ্র। প্রতিটি ঠাটই ভিন্ন ভিন্ন শুদ্ধ ও বিকৃত সুরের সমন্বয়ে গঠিত। একটি সপ্তকের ১২টি ঘরের মধ্যে ৭টি করে স্বর নিয়ে এক-একটি ঠাট গঠিত হয়েছে।
মেল স্বরসমূহঃ স্যাদ্রাগব্যঞ্জন শক্তিমান্।
— অভিনব রাগমঞ্জরী
[1]:৬৮
মেল স্বর-সমূহের এক বিশিষ্ট রচনা যার থেকে উৎপন্ন হয়।
ঠাটের নিম্নলিখিত বিশিষ্টগুলি উল্লেখযোগ্য:[1]:৬৮
- ঠাটের স্বর-সংখ্যা হবে সাতটি।
- সাতটি স্বরই হবে ক্রমানুসারে, যেমন—সা রে গ ম প ধ নি।
- ঠাটে কেবলমাত্র আরোহ হয়।
- একই ঠাটে শুদ্ধ ও বিকৃত স্বর পাশাপাশি ব্যবহৃত হয় না।
- ঠাট রচনায় রঞ্জকতা না থাকলেও চলে।
- ঠাট গাওয়া যায় না।
একটি ঠাটের অধীনে অনেকগুলো রাগ থাকে।
অপর দিকে এই সাতটি শুদ্ধ স্বর এর মধ্যে ৫টি স্বর এর বিকৃত রূপ রয়েছে:
র → ঋ (কোমল রে)
গ → জ্ঞ (কোমল গা)
ম → হ্ম (তীব্র/কড়ি মা)
ধ → দ (কোমল ধা)
ন → ণ (কোমল নি)
পণ্ডিত বিষ্ণুনারায়ণ ভাতখণ্ডে (১৮৬০-১৯৩৬) বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ভারতীয় উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের রাগ সমূহকে দশটি ঠাট বা শ্রেণীতে বিন্যস্ত করেছেন । মোটামুটিভাবে এই শ্রেণী বিভাজনই সর্বজন গৃহীত। এই রাগ-রাগিনী নিম্নলিখিত ১০টি মুখ্য ঠাটের উপরেই বিভাজিত।