জোসেফ স্তালিন
সোভিয়েত নেতা / From Wikipedia, the free encyclopedia
জোসেফ স্তালিন বা ইওসিফ ভিসসারিওনোভিচ স্তালিন (রুশ: Иосиф Виссарионович Сталин, প্রতিবর্ণীকৃত: Iosif Vissarionovich Stalin, রুশ উচ্চারণ: [ɪˈosʲɪf vʲɪsərʲɪˈonəvʲɪt͡ɕ ˈstalʲɪn], জর্জীয়: იოსებ ბესარიონის ძე სტალინი প্রতিবর্ণী. Ioseb Besarionis dze Jughashvili; জীবনকাল: ১৮ ডিসেম্বর ১৮৭৮[1] – ৫ মার্চ ১৯৫৩), যিনি জোসেফ স্তালিন (ইংরেজি: Joseph Stalin) নামেই সমধিক পরিচিত, একজন জর্জীয় সাম্যবাদী রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি ১৯২৪ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। তিনি ছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের ইতিহাসে দীর্ঘতম নেতা। লেনিনের মৃত্যুর পর তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হন (১৯২২-১৯৫২) এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মন্ত্রীপরিষদের চেয়ারম্যান (১৯৪১-১৯৫৩) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। প্রথমদিকে সম্মিলিত নেতৃত্বের অংশ হিসেবে দেশ পরিচালনা করলেও পরবর্তীতে ১৯৩০ এর দশকে তিনি সমস্ত ক্ষমতা কুক্ষিগত করে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেন। আন্তঃযুদ্ধ যুগের সব থেকে আলোচিত সমাজতান্ত্রিক ব্যাক্তিত্বদের একজন ছিলেন তিনি। তিনি স্তালিনবাদ এবং সোভিয়েত সাম্রাজ্যবাদের প্রবক্তা।
জোসেফ স্তালিন ইওসিফ ভিসসারিওনোভিচ স্তালিন | |
জোসেফ স্তালিন | |
সময়কাল: ৩ এপ্রিল ১৯২২ – ১৬ ই অক্টোবর ১৯৫২ | |
পূর্বসূরী | ভিয়াচেশ্লেভ মলোতভ (দায়িত্বশীল সচিব হিসেবে) |
উত্তরসূরী | গেওর্গি মালেনকোভ |
সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধানমন্ত্রী | |
সময়কাল: ৬ মে ১৯৪১ – ৫ মার্চ ১৯৫৩ | |
পূর্বসূরী | ভাচেস্লাভ মলোতভ |
উত্তরসূরী | গেওর্গি মালেনকোভ |
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী | |
সময়কাল: ১৫ই মার্চ ১৯৪৬ – ৩ মার্চ ১৯৪৭ | |
জন্ম | ১৮ ডিসেম্বর ১৮৭৮ গোরি, জর্জিয়া, রুশ সাম্রাজ্য |
মৃত্যু | ৫ মার্চ ১৯৫৩ মস্কো, রুশ সোভিয়েত যুক্তরাষ্ট্রীয় সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন |
জাতীয়তা | জর্জীয় |
রাজনৈতিক দল | সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টি |
স্তালিন সোভিয়েত ইউনিয়নে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত অর্থনীতি ব্যবস্থার প্রচলন করেন। তদানীন্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রায় সবটুকুই অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর ছিল। স্তালিনের দ্রুত শিল্পায়ন ও কৃষিকার্যের যৌথীকরণের মাধ্যমে পুরো দেশটি অল্প সময়ের মধ্যে শিল্পোন্নত দেশে পরিণত হয়। কিন্তু একই সময়ে অর্থনৈতিক উত্থান-পতনের দরুন বহু মানুষ দুর্ভিক্ষে মারা যায়। ১৯৩০-এর দশকে স্তালিন নিজের ক্ষমতা শক্ত করবার জন্য নিপীড়ন শুরু করেন, যার ফলে কমিউনিস্ট পার্টির শত্রু সন্দেহে বহু মানুষকে হত্যা করা হয়, অথবা সাইবেরিয়া ও মধ্য এশিয়ার শ্রম শিবিরে নির্বাসিত করা হয়। রাশিয়ার অনেক জাতিগোষ্ঠীকে তাদের বসতবাড়ি থেকে উৎখাত করে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়।
স্তালিনের শাসনকালে সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয় এবং নাৎসি জার্মানির পরাজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্তালিনের নেতৃত্বে সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্বের দুই পরাশক্তির একটিতে পরিণত হয়, যা ৪০ বছর পরে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পূর্ব পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।স