জৈব উপস্থিতি যাচাই
একটি পদার্থের শক্তি এবং প্রভাব নির্ধারণের বিশ্লেষণাত্মক পদ্ধতি / From Wikipedia, the free encyclopedia
জৈব উপস্থিতি যাচাই পরীক্ষা (ইংরেজি বায়োঅ্যাসে bioassay) বলতে এক ধরনের বিশ্লেষণী পদ্ধতিকে বোঝায় যার মাধ্যমে জীবন্ত উদ্ভিদ বা প্রাণীর (প্রাণী পরীক্ষণ) উপরে পরীক্ষাতে (জীবদেহে পরীক্ষা) বা পরীক্ষাগারে কাচের পাত্রে বা নলে (কাচের ভেতরে) জীবন্ত কোষ বা দেহকলার উপরে কোনও পদার্থের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করে সেই পদার্থের ঘনমাত্রা বা শক্তিমাত্রা নির্ণয় করা হয়।[1][2] জৈব উপস্থিতি যাচাই বিচ্ছিন্নসাংখ্যিক (quantal) বা গুণবাচক এবং প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হতে পারে।[3] যদি পরিমাপকৃত উত্তর বা সাড়াটি দ্বিভিত্তিক বা বাইনারি হয়, তাহলে পরীক্ষাটিকে বিচ্ছিন্নসাংখ্যিক বলা হয়, নইলে সেটিকে গুণবাচক বলা হয়।[3]
একটি জৈব উপস্থিতি যাচাই পরীক্ষাকে সম্ভাব্য জৈব বিপদ শনাক্ত করতে কিংবা কোনও মিশ্রণের গুণমান যাচাই করতে ব্যবহার করা হতে পারে।[4] প্রায়শই পানির গুণমান, বর্জ্যপানি নিষ্কাশণ ও পরিবেশের উপর তার প্রভাব বা অভিঘাত নজরদারিতে রাখতে জৈব উপস্থিতি যাচাই পরীক্ষা করা হয়।[5] এছাড়া নতুন প্রযুক্তি ও সুযোগসুবিধাদির পরিবেশগত অভিঘাত ও নিরাপত্তা যাচাইয়েও এটি প্রয়োগ করা হয়।