জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় উৎকর্ষ উদ্যোগ
From Wikipedia, the free encyclopedia
জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় উৎকর্ষ উদ্যোগ জার্মানির শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জার্মান গবেষণা ফাউন্ডেশন কর্তৃক গৃহীত একটি উদ্যোগ। এর লক্ষ্য জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে গবেষণা এবং বৈজ্ঞানিক শিক্ষার উপযোগী অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগসমূহের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়ন, গবেষণার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহায়তাকে বলিষ্ঠ করা এবং জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির উন্নতি করা। জার্মানির কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রাদেশিক সরকারসমূহের মধ্যে দীর্ঘদিন আলোচনার ফলস্বরূপ এই উদ্যোগ।[1]
জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় উৎকর্ষ উদ্যোগকে যুক্তরাজ্যের রাসেল গ্রুপের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। এই উদ্যোগ কার্যত জার্মান গবেষণা ফাউন্ডেশন এবং জার্মান বিজ্ঞান ও মানবিক পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত হয়। জার্মানির প্রায় ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয় এই উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত। গবেষণা ও বিজ্ঞান শিক্ষাকে ত্বরাণ্বিত করার জন্য এগুলো বার্ষিক অনুদান লাভ করে। অনুদান তিন ধরনের হতে পারে:
প্রথম ধরনের অনুদান: এই অনুদান জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তরুণ বিজ্ঞানী এবং পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জন্যে প্রায় ৪০টি গবেষণাকেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রদান করা হবে। এর মূল্য বার্ষিক দশ লক্ষ ইউরো।
দ্বিতীয় ধরনের অনুদান: প্রায় তিরিশটি “ক্লাস্টার অফ এক্সেলেন্স” বা উৎকর্ষী গুচ্ছ সৃষ্টিতে এই অনুদান ব্যয় করা হবে। এই গুচ্ছগুলো বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে জার্মানির শ্রেষ্ঠ গবেষণা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত করবে। এই গুচ্ছগুলো বার্ষিক প্রায় ৬৫ লক্ষ ইউরো লাভ করবে।
তৃতীয় ধরনের অনুদান: জার্মানির শ্রেষ্ঠ নয়টি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের “ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার” জন্য এই অনুদান লাভ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চমানসম্পন্ন গবেষণা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করার জন্যই এই অনুদানের প্রবর্তন করা হয়েছে। এই অনুদানটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক সমর্থন ও প্রশংসা লাভ করেছে।[2]
আগামী পাঁচ বছরে অতিরিক্ত ১৯০ কোটি ইউরো এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো লাভ করবে। এই অর্থের অধিকাংশই বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার। জার্মান বিজ্ঞান ও মানবিক পরিষদ তৃতীয় ধরনের অনুদানটি প্রদান করে। জার্মান গবেষণা ফাউন্ডেশন প্রথম ও দ্বিতীয় ধরনের অনুদান প্রদান করে।[1]