জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ
ভারতের সর্ববৃহৎ ইসলামি সংগঠন / From Wikipedia, the free encyclopedia
জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ (অনু. ভারতীয় আলেমদের পরিষদ)[1] ভারতের দেওবন্দি আলেমদের অন্যতম প্রধান সংগঠন। একইসাথে এটি ভারতীয় মুসলমানদের সর্ববৃহৎ পুরনো সংগঠন।[2] আব্দুল বারি ফিরিঙ্গি মহল্লী, কেফায়াতুল্লাহ দেহলভি, আহমদ সাইদ দেহলভিসহ প্রমুখ আলেম ১৯১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে এটি প্রতিষ্ঠা করেন।
جمعیت علمائے ہند | |
গঠিত | নভেম্বর ১৯১৯ (১০৪ বছর আগে) (1919-11) |
---|---|
প্রতিষ্ঠাতা | |
আইনি অবস্থা | ধর্মীয় সংগঠন |
উদ্দেশ্য | প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ভারতে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে অহিংস পদ্ধতিতে স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালনা, বর্তমান উদ্দেশ্য হল ভারতীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের উন্নয়ন |
সদরদপ্তর | ১, বাহাদুর শাহ জাফর মার্গ, নতুন দিল্লি |
যে অঞ্চলে কাজ করে | ভারত |
সদস্যপদ | ১ কোটি ২০ লক্ষাধিক এবং লক্ষ লক্ষ অনুগামী |
দাপ্তরিক ভাষা | উর্দু, ইংরেজি |
মহাসচিব |
|
সভাপতি |
|
প্রকাশনা | আল কিফাহ (আরবি মুখপত্র; ১৯৭৩ – ১৯৮৭) |
ওয়েবসাইট | মাহমুদ গ্রুপ আরশাদ গ্রুপ |
জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ ২০০৮ সালের মার্চ মাসে দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়, একটি আরশাদ গ্রুপ এবং অন্যটি মাহমুদ গ্রুপ, উভয়ই "আ" এবং "ম" দ্বারা চিহ্নিত। |
এটি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে খিলাফত আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। সংগঠনটি ভারত বিভাজনের বিরোধিতাসহ মুসলিম এবং অমুসলিমদের একই জাতি স্বীকৃত দিয়ে সম্মিলিত জাতীয়তাবাদের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে। ফলস্বরূপ ১৯৪৫ সালে এই সংগঠন থেকে জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম নামে একটি ছোট উপদল বের হয়ে পাকিস্তান আন্দোলনকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এই সংগঠনের গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করেন কেফায়াতুল্লাহ দেহলভি। ২০২১ সাল পর্যন্ত এই সংগঠন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠন বিস্তারসহ ইদারা মাবাহিছে ফিকহিয়্যাহ, জমিয়ত জাতীয় উন্মুক্ত বিদ্যালয়, জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ হালাল ট্রাস্ট, লিগ্যাল সেল ইনস্টিটিউট এবং জমিয়ত যুব ক্লাবের মত প্রতিষ্ঠান ও শাখা প্রতিষ্ঠা করেছে। ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আসআদ মাদানির মৃত্যুর পর তার ভাই আরশাদ মাদানি সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে ২০০৮ সালের মার্চে সংগঠনটি আরশাদ গ্রুপ এবং মাহমুদ গ্রুপ নামে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। উসমান মনসুরপুরী মাহমুদ গ্রুপের সভাপতি হন এবং ২০২১ সালের মে মাসে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন। অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসেবে তার স্থলাভিষিক্ত হন মাহমুদ মাদানি, যিনি ১৮ সেপ্টেম্বর স্থায়ী হন। আরশাদ মাদানি আরশাদ গ্রুপের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।