গ্যোটিঙেন
মধ্য জার্মানির নিডারজাখসেন রাজ্যের বৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয় নগরী / From Wikipedia, the free encyclopedia
গ্যোটিঙেন (জার্মান: Göttingen; আ-ধ্ব-ব: [ˈɡœtɪŋən]; শুনুনⓘ) মধ্য জার্মানির নিডারজাখসেন রাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয় শহর ও গ্যোটিঙেন জেলার প্রধান শহর। শহরটির ভেতর দিয়ে লাইনে নদীটি প্রবাহিত হয়েছে। শহর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে হানোফার নগরীটি অবস্থিত। ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী এখানে প্রায় ১ লক্ষ ১৯ হাজার লোকের বাস ছিল।[2]
গ্যোটিঙেন | |
---|---|
দেশ | জার্মানি |
জেলা | গ্যোটিঙেন |
প্রথম উল্লিখিত | 953 |
সরকার | |
• ওবারব্যুর্গারমাইস্টার | পেট্রা ব্রোইষ্টেট[1] (SPD) |
আয়তন | |
• মোট | ১১৬.৮৯ বর্গকিমি (৪৫.১৩ বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | সিইটি/সিইডিটি (ইউটিসি+১/+২) |
ডাক কোড | 37001–37085 |
ফোন কোড | 0551 |
যানবাহন নিবন্ধন | GÖ |
৯৫৩ সালে প্রথম লোকালয়টির উল্লেখ পাওয়া যায়। ১২১০ সালে এটি রাজকীয় সনদ লাভ করে ও এসময় এটি হানজেয়াটীয় বণিক সংঘের অংশ ছিল। ১৪শ শতকে প্রুশিয়ার অধীনে এটি সমৃদ্ধি লাভ করে। ইংল্যান্ডের রাজা ২য় জর্জ এখানে ১৭২৭ সালে গ্যোটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়টি ইউরোপের সবচেয়ে বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির একটিতে পরিণত হয় এবং এর ফলে শহরটির খ্যাতিও বৃদ্ধি পায়। ১৯শ শতকের শেষের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগটি অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়টির গ্রন্থাগার জার্মানির সবচেয়ে সমৃদ্ধ গ্রন্থাগারগুলির একটি। গ্যোটিঙেন শহরের সাথে ৪৪ জন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সম্পর্কিত, যাদের কেউ কেউ এই শহরে জন্ম নেন, অন্যরা এখানে শিখতে, শিক্ষাদান করতে বা গবেষণা করতে এসেছিলেন। এদের মধ্যে রসায়নবিদ অটো হান, পদার্থবিজ্ঞানী মাক্স বর্ন, জেমস ফ্রাংক, ভের্নার হাইজেনবের্গ ও মাক্স ফন লাউয়ে-র নাম উল্লেখ্য। সব মিলিয়ে শহরের আনাচে কানাচে ৩০০রও বেশি বিখ্যাত পণ্ডিতকে শ্বেতপাথরের ফলক স্থাপনের মাধ্যমে স্মরণ করা হয়েছে, যারা ইউরোপের বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাসের অগ্রযাত্রার সাক্ষী। অটো ফন বিসমার্ক, হাইনরিখ হাইনে ও হেনরি ওয়াডসওয়ার্থ লংফেলো এখানে পড়াশোনা করেন। এখানে ১৯৪৮ সালে মাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়।
গ্যোটিঙেনে উচ্চ প্রযুক্তি, আলোকীয় ও সূক্ষ্ম সরঞ্জাম, অণুবৈদ্যুতিন (মাইক্রোইলেকট্রনিক) দ্রব্যাদি, রাসায়নিক দ্রব্যাদি ও কৃত্রিম দ্রব্যাদির কারখানা আছে। এখানকার প্রকাশনা শিল্পটিও গুরুত্বপূর্ণ। ২য় বিশ্বযুদ্ধে শহরটির তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি, তাই এখানে বহু মধ্যযুগীয় কাঠের বাসভবন ও স্থাপনা দেখতে পাওয়া যায়। ১৪শ শতকে নির্মিত নগর ভবন ও বেশ কিছু গোথিক ও বারোক স্থাপত্যশৈলীর গির্জা রয়েছে। আরও আছে ১৭৩৬ সালে স্থাপিত উদ্ভিদতাত্ত্বিক উদ্যান, মঞ্চভবন ও ধর্মীয় শিল্পকলার সংগ্রহে সমৃদ্ধ পৌর জাদুঘর।
গ্যোটিঙেন শহরে প্রতি বছর গ্রীষ্মের শুরুতে আন্তর্জাতিক হান্ডেল উৎসবের আসর বসে, যেখানে বারোক ঘরানার সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।