খ্রিস্টধর্মের ইতিহাস
ইতিহাসের বিভিন্ন দিক / From Wikipedia, the free encyclopedia
খ্রিস্টধর্মের ইতিহাস হল ১ম শতাব্দী থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত খ্রিস্টীয় ধর্ম, খ্রিস্টীয় বিশ্ব ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ে বিভক্ত চার্চের বিবরণ।
খ্রিস্টীয় ১ম শতাব্দীর মধ্যভাগে লেভ্যান্টে (পূর্ব-ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল) খ্রিস্টধর্মের উত্থান ঘটে। জেরুসালেম থেকে সমগ্র নিকট প্রাচ্যে খ্রিস্টধর্ম প্রসারলাভ করেছিল। আরাম, আসিরিয়া, মেসোপটেমিয়া, ফিনিশিয়া, এশিয়া মাইনর, জর্ডান ও মিশর ছিল খ্রিস্টধর্মের প্রথম যুগের প্রধান কেন্দ্রসমূহ। খ্রিস্টীয় ৪র্থ শতাব্দী থেকে খ্রিস্টধর্ম রাজধর্মের স্বীকৃতি পেতে শুরু করে। ৩০১ সালে আর্মেনিয়ায়, ৩১৯ সালে জর্জিয়ায়,[1][2] ৩২৫ সালে আকসুমাইট সাম্রাজ্যে[3][4] এবং ৩৮০ সালে রোমান সাম্রাজ্যে খ্রিস্টধর্ম রাজধর্মের স্বীকৃতি পায়। ৪৫১ সালে কাউন্সিল অফ ক্যালসেডন খ্রিস্টধর্মকে ওরিয়েন্টাল অর্থোডক্সি ও ক্যালসিডোনীয় খ্রিস্টধর্ম – এই দুই সম্প্রদায়ে বিভক্ত করে দেয়। ১০৫৪ সালে মহাবিভাজনের সময় ক্যালসিডনীয় খ্রিস্টধর্ম রোমান ক্যাথলিক চার্চ ও ইস্টার্ন অর্থোডক্স চার্চে বিভক্ত হয়ে যায়। ষোড়শ শতাব্দীতে প্রোটেস্টান্ট সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে রোমান ক্যাথলিক চার্চ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি নতুন খ্রিস্টীয় সম্প্রদায়ের জন্ম হয়। পরে এই সম্প্রদায় থেকে অনেকগুলি পৃথক খ্রিস্টীয় সম্প্রদায় সৃষ্টি হয়।
মধ্যযুগে রোমান ক্যাথলিক ও ইস্টার্ন অর্থোডক্স খ্রিস্টধর্ম সমগ্র ইউরোপে প্রসারিত হয়েছিল। নবজাগরণের সময় থেকে শুরু করে ইউরোপের আবিষ্কার যুগে খ্রিস্টধর্ম সারা পৃথিবীতে প্রসারিত হয়। এর ফলে এই ধর্ম বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় গোষ্ঠীতে পরিণত হয়।[5] বর্তমানে পৃথিবীতে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা দুইশ কোটি, যা বিশ্বের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি।[6]