কোভিড-১৯ টিকা
From Wikipedia, the free encyclopedia
কোভিড-১৯ টিকা একটি প্রকল্পিত টিকা যা করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯ (কোভিড-১৯) এর বিরুদ্ধে কাজ করবে। একটি ভাইরাস বিরোধী টিকা যা লুই পাস্তুরের আবিষ্কৃত পদ্ধতির উপর প্রতিষ্ঠিত। কোভিড ১৯ অভিমারী এর পূর্বে, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত রোগ যেমন গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস এবং মধ্যপ্রাচ্যীয় শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি সৃষ্টিকারী করোনা ভাইরাস(সার্স) এর বিরুদ্ধে কার্যকর টিকা আবিষ্কার এর লক্ষ্যে গবেষণালব্ধ কাজ করোনাভাইরাসের আকৃতি এবং কার্যপ্রকৃতি সম্পর্কে জ্ঞানলাভে সহায়তা করে।
এই নিবন্ধটি মেয়াদোত্তীর্ণ। (ডিসেম্বর ২০২০) |
এই নিবন্ধটিতে সাম্প্রতিক দুর্যোগ সম্পর্কিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। ঘটনার অগ্রগতির সাথে সাথে এই ঘটনাটি সম্পর্কিত তথ্যগুলি খুব দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে। যদিও এই নিবন্ধটি বেশ দ্রুত হালনাগাদ করা হবে, কিন্তু এটি এই বিষয়টি নিশ্চিত করে না যে এখানে দুর্যোগ সম্পর্কিত সর্বশেষ সকল তথ্য পাওয়া যাবে। |
এই গবেষণালব্ধ জ্ঞান ২০২০ সালের প্রথমাংশে বিভিন্ন ভ্যাক্সিন তৈরির প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। ফেব্রুয়ারি ২০২১-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ], ক্লিনিক্যাল গবেষণায় মোট ৬৬টি টিকা রয়েছে, যার মধ্যে ১৭টি প্রথম দশার ট্রায়ালে রয়েছে, ২৩টি প্রথম-দ্বিতীয় দশায় রয়েছে, ৬টি দ্বিতীয় দশায় রয়েছে, এবং ২০টি তৃতীয় দশায় রয়েছে।[1] অন্য চারটির আবেদন বাতিল হয়েছে।[1]
তৃতীয় দশায় ট্রায়ালে থাকা বেশ কিছু ভ্যাক্সিন, কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিরুদ্ধে ৯৫% পর্যন্ত সফলতা দেখিয়েছে। ফেব্রুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত, দশটি ভ্যক্সিন অন্তত একটি জাতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা দ্বারা জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে যার মধ্যে দুটি আরএনএ টিকা ( ফাইজার-বায়োএনটেক কোভিড-১৯ টিকা এবং এমআরএনএ-১২৭৩),চারটি গতানুগতিক iনিস্ক্রিয় টিকা (সাইনোফার্ম এর বিবিআইবিপি-কোরভি, ভারত বায়োটেক এর বিবিভি১৫২, সাইনোভ্যাক এর করোনাভ্যাক, এবং সাইনোফার্ম এর ডব্লুউআইবিপি),তিনটি ভাইরাল ভেক্টর ভ্যাক্সিন ( গামানেয়া গবেষণা কেন্দ্র এর স্পুটনিক-ফাইভ , অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন, এবং ক্যানসাইনো বায়োলজিকস এর এডি৫-এনকোভ ), এবং একটি পেপটাইড টিকা ( ভেক্টর ইন্সটিটিউট এর এপিভ্যাককরোনা).[1]
বিভিন্ন দেশ কিছু পর্যায়ে জনগোষ্ঠীর মধ্যে টিকা প্রয়োগের পরিকল্পনা প্রয়োগ করা শুরু করেছে যাতে অতিরিক্ত ঝুঁকি সম্পন্ন বয়স্ক লোক এবং অতিরিক্ত সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত কর্মীরা আগে টিকা পেতে পারেন। [2] বিশ্বব্যাপী জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর বিবৃতি অনুযায়ী, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি ১ পর্যন্ত, ১০১.৩১ মিলিয়ন কোভিড-১৯ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। [3]
ফাইজার, মর্ডানা এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা এর মতে ২০২১ সালের মধ্যে ৫.৩ বিলিয়ন ডোজ তৈরি সম্ভব হবে, যা দ্বারা ৩ বিলিয়ন মানুষকে টিকা প্রয়োগ করা সম্ভব হবে। (কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব তৈরির জন্য প্রত্যেক মানুষের দুটি ডোজের প্রয়োজন হয়।. ২০২০ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ কর্তৃক প্রায় ১০ বিলিয়নের বেশি টিকার ডোজের পূর্বাদেশ দেওয়া হয়েছে,[4] যার প্রায় অর্ধেক উচ্চ-আয়ের দেশ কর্তৃক দেওয়া যেখানে বিশ্বের ১৪% জনগোষ্ঠী বসবাস করে।[5]