কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারীর অর্থনৈতিক প্রভাব
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারীর প্রভাব / From Wikipedia, the free encyclopedia
কোভিড-১৯ মহামারী রোগটি সারা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ও মানুষের মধ্যে সামাজিক ভাবে দূরত্ব তৈরি করা ছাড়াও স্বয়ংক্রিয়ভাবে এর এক সুদুর প্রসারী অর্থনৈতিক প্রভাব তৈরী করেছে। সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটি যেভাবে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পরেছে, ঠিক সেভাবেই উৎপাদন-খাতের সরবরাহকে হ্রাস করে ব্যবসায়িক বাজারে মন্দাতা সৃষ্টি করেছে।[1] মহামারীটি বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি লোককে বন্দী (লকডাউন) রেখে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক মন্দা তৈরী করেছে।[2] মহামারীটিকে মোকাবিলার জন্য জনগণের আতঙ্কিত ক্রয়, কিছু কিছু পণ্যের ব্যবহারকে বৃদ্ধি করেছে। সেই সাথে চীনের মূল-ভূখন্ডের কারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন কমেছে। ফলে বিশ্বজুরে নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যক্ষ হয়েছে।[3] বহুমাত্রিকভাবে ঔষধের ঘাটতির খবর সহ,[4] বিভিন্ন জায়গায় আতঙ্কিত ক্রয়ের কারণে খাদ্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর অপ্রতুলতা দেখা দিয়েছে।[5][6][7] প্রযুক্তি খাত, বিশেষ করে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি সরবরাহে বিলম্বের কথা সতর্ক করে রাখা হয়েছে।[8] চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব শেয়ার বাজারগুলি হ্রাস পেয়ে যায়।[9][10] ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে, বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারগুলি ২০০৮ এর আর্থিক সঙ্কটের পরে তাদের বৃহত্তম একক সপ্তাহের হ্রাস দেখতে পেয়েছিল। [11][12][13] ২০২০ সালের মার্চ মাসে বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজারগুলি ক্র্যাশ হয়ে এবং বিশ্বের প্রধান সূচকে কয়েক শতাংশ পড়েছে। মহামারীটি ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি, ফ্যাশন এবং ক্রীড়া জগতে সম্মেলন এবং ইভেন্টগুলি বাতিল বা স্থগিত করা হচ্ছে।[14] ভ্রমণ এবং বাণিজ্য শিল্পে আর্থিক প্রভাব এখনও অনুমান করা যায় না, এটি সম্ভবত বিলিয়ন কিংবা তারও বেশি বৃদ্ধি পাবে।