ওলাফ শলৎস
জার্মানির রাজনীতিবিদ ও চ্যান্সেলর (২০২১-) / From Wikipedia, the free encyclopedia
ওলাফ শলৎস (জার্মান: Olaf Scholz, আ-ধ্ব-ব: [ˈoːlaf ˈʃɔlts]; শুনুনⓘ; জন্ম (১৯৫৮-০৬-১৪)১৪ জুন ১৯৫৮) একজন জার্মান রাজনীতিবিদ ও ২০২১ খ্রিস্টাব্দের ৮ই ডিসেম্বর তারিখ থেকে জার্মানির চ্যান্সেলর (কানৎসলার)। তিনি সামাজিক গণতন্ত্রী দল নামক রাজনৈতিক দলের একজন সদস্য। তিনি ইতঃপূর্বে ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত জার্মানির প্রাক্তন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেলের অধীনে জার্মানির উপ-চ্যান্সেলর পদে ও জার্মানির অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ২০১১ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত হামবুর্গ নগরীর নগরপ্রধান (মেয়র) এবং ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সামাজিক গণতন্ত্রী দলের উপপ্রধান ছিলেন। শলৎস বর্তমানে ট্রাফিক লাইট কোয়ালিশন নামক একটি রাজনৈতিক সমবায়ের দ্বারা গঠিত সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, যেটিতে সামাজিক গণতন্ত্রী দলের পাশাপাশি সবুজ দল ও জার্মানির মুক্ত গণতান্ত্রিক দলটিও অন্তর্ভুক্ত।
ওলাফ শলৎস Olaf Scholz সংসদ সদস্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জার্মানির চ্যান্সেলর | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
দায়িত্বাধীন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
অধিকৃত কার্যালয় ৮ই ডিসেম্বর, ২০২১ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
রাষ্ট্রপতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উপ-চ্যান্সেলর |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পূর্বসূরী | আঙ্গেলা মের্কেল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জার্মানির উপ-চ্যান্সেলর | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
কাজের মেয়াদ ১৪ই মার্চ, ২০১৮ – ৮ই ডিসেম্বর, ২০২১ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
চ্যান্সেলর | আঙ্গেলা মের্কেল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পূর্বসূরী | জিগমার গাব্রিয়েল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উত্তরসূরী | রোবের্ট হেবেক | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
অর্থমন্ত্রী | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
কাজের মেয়াদ ১৪ই মার্চ, ২০১৮ – ৮ই ডিসেম্বর, ২০২১ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
চ্যান্সেলর | আঙ্গেলা মের্কেল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পূর্বসূরী | ভোলফগাং শয়েবলে | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উত্তরসূরী | ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
হামবুর্গের মুখ্য নগরপ্রধান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
কাজের মেয়াদ ৭ই মার্চ, ২০১১ – ১৩ই মার্চ, ২০১৮ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
Second Mayor | ডোরোটে ষ্টাপেলফেল্ট কাটারিনা ফেগেবাংক | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পূর্বসূরী | ক্রিস্টফ আলহাউস | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উত্তরসূরী | পেটার চেঞ্চার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত বিবরণ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | (1958-06-14) ১৪ জুন ১৯৫৮ (বয়স ৬৫) ওসনাব্র্যুক, পশ্চিম জার্মানি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
রাজনৈতিক দল | জার্মানির সামাজিক গণতন্ত্রী দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
দাম্পত্য সঙ্গী |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বাসস্থান | আলটার মার্কট, পটসডাম | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পেশা |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
স্বাক্ষর | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওয়েবসাইট | olaf-scholz |
শলৎস একজন বার আইনজীবী হিসেবে ১৯৮৫ সালে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি শ্রম আইন ও কর্মসংস্থান আইন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ।[1] ১৯৭০-এর দশকেই তিনি সামাজিক গণতন্ত্রী দলের একজন সদস্য ছিলেন। ১৯৯৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি জার্মানির আইনসভা বুন্ডেসটাগের একজন সদস্য ছিলেন। তিনি ২০০১ সালে হামবুর্গ নগর সরকারে প্রথম নগরপ্রধান অর্টভিন রুন্ডের অধীনে কাজ করেন। ২০০২ সালে তিনি সামাজিক গণতন্ত্রী দলের সাধারণ সচিব পদে নির্বাচিত হন। এসময় তিনি দলটির নেতা ও জার্মানির তৎকালীন চ্যান্সেলর গেরহার্ড শ্র্যোডারের সহযোগী ছিলেন। ২০০৪ সালে সাধারণ সচিব পদ থেকে সরে দাঁড়ান ও জার্মানির আইনসভা বুন্ডেসটাগে তাঁর দলের প্রধান আহ্বায়ক বা প্রধান হুইপ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। এর পরে ২০০৭ সালে তিনি আঙ্গেলা মের্কেলের সরকারে শ্রম ও সামাজিক বিষয়াবলী সংক্রান্ত মন্ত্রী হিসেবে যোগ দেন। ২০০৯ সালে নির্বাচনের পরে সামাজিক গণতন্ত্রী দল সরকার ত্যাগ করলে শলৎস হামবুর্গ নগরীতে দলটির নেতৃত্বে প্রত্যাবর্তন করেন। একই সময়ে তিনি দলটির উপনেতা নির্বাচিত হন। ২০১১ সালের হামবুর্গ রাজ্য নির্বাচনে তিনি দলকে বিজয়ী হতে সাহায্য করেন ও হামবুর্গের নগরপ্রধানে পরিণত হন; ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি এই পদ ধরে রাখেন।
২০১৮ সালে সামাজিক গণতন্ত্রী দল মের্কেলের অধীনে চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করলে শলৎসকে একই সাথে জার্মানির উপ-চ্যান্সেলর ও অর্থমন্ত্রীর পদ প্রদান করা হয়। ২০১৯ সালে শলৎস সামাজিক গণতন্ত্রী দলের দ্বৈত (পুরুষ-নারী জোড়) নেতৃত্বপদের জন্য ব্রান্ডেনবুর্গের রাজ্য প্রতিনিধি ক্লারা গাইভিৎসের সাথে জুটি বাঁধেন, কিন্তু এই জুটি নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ে নর্বার্ট ভাল্টার-বরিয়ান্স ও সাস্কিয়া এস্কেন জুটির কাছে পরাজিত হয়।[2] শলৎস দলের উপপ্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।[3] ২০২০ খ্রিস্টাব্দে সামাজিক গণতন্ত্রী দল শলৎসকে ২০২১ সালে দেশটির কেন্দ্রীয় নির্বাচনে জার্মানির চ্যান্সেলর পদের জন্য মনোনয়ন প্রদান করে।[4] দলটি জার্মানির আইনসভা বুন্ডেসটাগের সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন বিজয় করে এবং সবুজ দল ও মুক্ত গণতান্ত্রিক দলের সাথে একটি কোয়ালিশন বা সমবায় গঠন করে। ২০২১ সালের ৮ই ডিসেম্বর বুন্ডেসটাগের সংসদ সদস্যরা শলৎসকে জার্মানির চ্যান্সেলর (Kanzler "কানৎসলার") হিসেবে নির্বাচন করেন।[5]