ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
From Wikipedia, the free encyclopedia
ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (হিন্দি: इंदिरा गांधी अन्तर्राष्ट्रीय विमानक्षेत्र) (আইএটিএ: DEL, আইসিএও: VIDP) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির পাশাপাশি ভারতের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে। নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১৫ কিলোমিটার (৯.৩ মা) দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং নয়াদিল্লি শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার (৯.৯ মা) দূরে[4][5] পালামে অবস্থিত বিমানবন্দরটি ৫,১০৬ একর (২,০৬৬ হেক্টর)[6] অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত। ২০০৯ সালে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নামে নামকরণ করা হয় । ২০০৯ সাল থেকে বিমানবন্দরটি যাত্রী সংখ্যার হিয়াসাবে ভারতের ব্যস্ততম বিমানবন্দর।[7] ২০১৫ সালের শেষের দিকে মুম্বইকে অতিক্রম পণ্য পরিবহনের দিক থেকে এটি দেশের ব্যস্ততম পণ্যবাহী বিমানবন্দর। ২০১৮ সালের ক্যালেন্ডারে প্রায় ৭ কোটি যাত্রী পরিবহনের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে এটি বিশ্বের ১২তম ব্যস্ততম বিমানবন্দর এবং এশিয়ার ৬তম ব্যস্ততম বিমানবন্দর।[8] এটি এয়ারবাস এ৩২০ বিমানের জন্য বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দর।[9] নির্মাণাধীন সম্প্রসারণ কর্মসূচিটি ২০৩০ সালের মধ্যে বিমানবন্দরের যাত্রী পরিচালনার সক্ষমতা ১০০ কোটি পর্যন্ত বাড়িয়ে তুলবে।[10]
ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর | |||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||||||||||||||||||||||
বিমানবন্দরের ধরন | সরকারি | ||||||||||||||||||||||
পরিচালক | দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লিমিটেড (ডিআইএএল) | ||||||||||||||||||||||
পরিষেবাপ্রাপ্ত এলাকা | দিল্লি/এনসিআর | ||||||||||||||||||||||
অবস্থান | পালাম, দিল্লি, ভারত | ||||||||||||||||||||||
যে হাবের জন্য | |||||||||||||||||||||||
এএমএসএল উচ্চতা | ৭৭৭ ফুট / ২৩৭ মি | ||||||||||||||||||||||
স্থানাঙ্ক | ২৮°৩৪′০৭″ উত্তর ০৭৭°০৬′৪৪″ পূর্ব | ||||||||||||||||||||||
ওয়েবসাইট | দিল্লি বিমানবন্দর | ||||||||||||||||||||||
মানচিত্র | |||||||||||||||||||||||
লুয়া ত্রুটি মডিউল:অবস্থান_মানচিত্ এর 480 নং লাইনে: নির্দিষ্ট অবস্থান মানচিত্রের সংজ্ঞা খুঁজে পাওয়া যায়নি। "মডিউল:অবস্থান মানচিত্র/উপাত্ত/ভারত নয়াদিল্লি" বা "টেমপ্লেট:অবস্থান মানচিত্র ভারত নয়াদিল্লি" দুটির একটিও বিদ্যমান নয়। | |||||||||||||||||||||||
রানওয়ে | |||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||
পরিসংখ্যান (২০১৯-২০২০) | |||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||
বিমানবন্দরটি ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে স্থানান্তরিত করার আগে ভারতীয় বিমানবাহিনী দ্বারা পরিচালনা করা হত।[11] ২০০৬ সালের মে মাসে, বিমানবন্দরের পরিচালনার দায়িত্ব জিএমআর গোষ্ঠীর নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়াম দিল্লি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড (ডিআইএএল) এর কাছে চলে যায়।[12] ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে বিমানবন্দরটি ৪,৪৩০ মিটার (১৪,৫৩০ ফুট) দীর্ঘ রানওয়ের উদ্বোধন করে। ২০১০ সালে টার্মিনাল ৩ এর পরিচালনা শুরুর সাথে সাথে এটি ভারত এবং দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম বিমান চলাচল কেন্দ্রে পরিণত হয়। টার্মিনাল ৩ এর ভবনটি বার্ষিক ৩ কোটি ৪০ লাখ যাত্রী পরিচালনা করতে সক্ষম এবং এর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হওয়ার পরে বিশ্বের ৮তম বৃহত্তম যাত্রী টার্মিনালে পরিণত হয়।[5] বিমানবন্দরটি বিমানবন্দর সহযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ (এ-সিডিএম) নামে একটি উন্নত ব্যবস্থা ব্যবহার করে, যা উড্ডয়ন এবং অবতরণ সময়মতো ও অনুমানযোগ্য রাখতে সহায়তা করে।[13]
২০১০ সালে, ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরকে ১.৫–২.৫ কোটি বিভাগে বিশ্বের চতুর্থ সেরা বিমানবন্দর পুরস্কার এবং এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সেরা উন্নত বিমানবন্দর পুরস্কার প্রদান করে।[14] এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক ২০১৫ সালে ২.৫–৪.০ কোটি যাত্রী বিভাগে বিমানবন্দরটিকে বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর হিসাবে স্থান দেওয়া হয়।[15][16] ২০১৫ সালে দিল্লি বিমানবন্দরকে মধ্য এশিয়ার সেরা বিমানবন্দর এবং মধ্য এশিয়ার সেরা বিমানবন্দর কর্মী বিভাবে "স্কাইট্র্যাক্স বিশ্ব বিমানবন্দর পুরস্কার ২০১৫" (স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারপোর্ট অ্যাওয়ার্ডস ২০১৫) দ্বারা ভূষিত করা হয়।[17] এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক পরিচালিত "২০১৫ এয়ারপোর্ট সার্ভিস কোয়ালিটি" (২০১৫ বিমানবন্দর পরিষেবার মান (এএসকিউ)) পুরষ্কারের জন্যও নতুন র্যাঙ্কিংয়ে আইজিআই প্রথম স্থান অর্জন করে।[18] বিমানবন্দরটিকে মুম্বই বিমানবন্দরের সাথে বছরে ৪ কোটিরও বেশি যাত্রী পরিচালনাকারী বিমানবন্দরগুলির সর্বোচ্চ শ্রেণিতে "বিমানবন্দর পরিষেবার মান পুরস্কার ২০১৭"-এ বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর হিসাবে বিবেচনা করা হয়।[19]
দিল্লি এনসিআর'তে পরিষেবা প্রদানকারী অন্য বিমানবন্দর হল হিন্দন বিমানবন্দর, যা আকারে অনেক ছোট এবং মূলত শহরটির বাইরে আঞ্চলিক উড়ান পরিচালনা করে সরকারের উড়ান প্রকল্পের অধীনে।[20] সংক্ষিপ্ত রানওয়ের কারণে সাফদারজং বিমানবন্দরটি মূলত ভিভিআইপি হেলিকপ্টার এবং ছোট চার্টার হেলিকপ্টার পরিচালনা করতে ব্যবহার করা হয়। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চাপ হ্রাস করার জন্য জেবর বিমানবন্দরের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।[21]