আহমেদ ইয়াসিন
From Wikipedia, the free encyclopedia
শায়খ আহমাদ ইসমাইল হাসান ইয়াসিন (২৮শে জানুয়ারী ১৯৩৬ – ২২শে মার্চ ২০০৪)[2][3][4] (আরবিঃ الشيخ أحمد إسماعيل حسن ياسين) একজন বিশিষ্ট ইসলামী ব্যক্তিত্ব, ফিলিস্তিনি রাজনীতিবিদ, ফিলিস্তিনের শিক্ষা আন্দোলনের অগ্রপথিক ও ধর্মীয় নেতা। তিনি গাযা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং হামাস নামক স্বশস্ত্র রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা।[5][6][7][8][9] ১৯৪৮ সালের যুদ্ধের পর পরিবারের সাথে গাযার শরণার্থী শিবিরে আসেন। মাত্র বারো বছর বয়সে বন্ধূর সাথে খেলতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন এবং পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে পড়েন।[10] তিনি পড়াশোনার জন্য আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তি হলেও পরবর্তীকালে শারিরীক অক্ষমতার কারণে সেখানে পুরো পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। কর্মজীবনে তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক। এছাড়া তিনি মসজিদে ইমামতি করেতেন এবং খুতবাও দিতেন। তার বলিষ্ঠ যুক্তি এবং উপস্থাপন ভঙ্গী তাকে ফিলিস্তীনের একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছিল।[11][12][13]
শেখ আহমাদ ইয়াসিন أحمد ياسين | |
---|---|
২৮শে জানুয়ারী ১৯৩৬– ২২শে মার্চ ২০০৪ | |
২০০৪ সালের প্রথম দিকে গাযায় আহমাদ ইয়াসিন | |
জন্ম তারিখ | ২৮শে জানুয়ারী ১৯৩৬ |
জন্মস্থান | আল জুরাহ আসকালান প্রদেশ, ফিলিস্তিন[1] |
মৃত্যু তারিখ | ২২শে মার্চ ২০০৪ |
মৃত্যুস্থান | গাজা স্ট্রীপ, গাজা, ফিলিস্তীন |
জাতীয়তা | ফিলিস্তিনি |
উপাধি | শায়খুল মুকাওয়ামাহ(প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতা) |
আন্দোলন | প্রথম ইন্তিফাদা দ্বিতীয় ইন্তিফাদা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলন |
দাম্পত্য সঙ্গী | হালিমা ইয়াসিন |
১৯৬৭ সালের আরব ইসরাইল যুদ্ধের পর শায়খ তার বক্তব্যে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধের দিকে উদ্বুদ্ধ করতে শুরু করেন। তিনি এসময় ইসলামী সমাজ সংস্থার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে অবরুদ্ধ জনগণ, আহত এবং বন্দীদের জন্য ত্রাণ ও সাহায্যের ব্যবস্থা করেন। বিভিন্ন সামাজিক কাজের মাধ্যমে তিনি ফিলিস্তিনী জনগণের প্রিয় পাত্রে পরিণত হন। ১৯৮৩ সালে তিনি প্রথমবারের মত গ্রেফতার হন এবং ইহুদী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণে জনগণকে উস্কানী দেয়ার অভিযোগে তার ১৩ বছরের জেল হয়। ১৯৮৫ সালে তিনি ছাড়া পান। ১৯৮৭ সালে তিনি হামাস প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথম দিকে হাসপাতাল, এনজিও, স্কুল, লাইব্রেরী গঠনের মাধ্যমে জনগণের মন আকর্ষণ করলেও ধীরে ধীরে হামাস ইসরাইলীদের বিরুদ্ধে একটি স্বশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলনে রূপ নেয়।[3][4] ১৯৯১ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের মত গ্রেফতার হন। ১৯৯৭ সালে ছাড়া পেয়ে দ্বিগুন উদ্যমে প্রতিরোধ আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েন। তাকে হত্যার জন্য ইসরাইল বেশ কয়েকবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। অবশেষে ২২ মার্চ ২০০৪ সালের ভোরে ফজরের নামাজে যাবার সময় ইসরাইলী বাহিনী হেলিকপ্টার থেকে মিসাইল ছুঁড়ে তাকে হত্যা করে। তার জানাযায় বিপুল পরিমাণ ফিলিস্তীনী জনগণের সমাগম হয়। বিশ্বের অনেক দেশ এবং অনেক সংগঠন তার হত্যাকান্ডের নিন্দা জানায়।[14][15][16][17]