অ্যান ব্রন্টি
From Wikipedia, the free encyclopedia
অ্যান ব্রন্টি (ইংরেজি: Anne Brontë; ১৭ জানুয়ারি ১৯২০ - ২৮ মে ১৮৪৯)[1] ছিলেন একজন ইংরেজ ঔপন্যাসিক ও কবি। তিনি ব্রন্টি বোনদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ।
অ্যান ব্রন্টি | |
---|---|
স্থানীয় নাম | Anne Brontë |
জন্ম | (১৮২০-০১-১৭)১৭ জানুয়ারি ১৮২০ থর্নটন, ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড |
মৃত্যু | ২৮ মে ১৮৪৯(1849-05-28) (বয়স ২৯) স্কারবরা, নর্থ ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড |
সমাধিস্থল | সেন্ট ম্যারিস চার্চইয়ার্ড, স্কারবরা |
ছদ্মনাম | অ্যাক্টন বেল |
পেশা | কবি, ঔপন্যাসিক, গৃহশিক্ষিকা |
ভাষা | ইংরেজি |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ |
সময়কাল | ১৮৩৬–১৮৪৯ |
ধরন | কল্পকাহিনি, কবিতা |
সাহিত্য আন্দোলন | বাস্তবতাবাদ |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | দ্য টেনান্ট অব ওয়াইল্ডফেল হল |
আত্মীয় | ব্রন্টি পরিবার |
স্বাক্ষর |
দরিদ্র আইরিশ যাজক প্যাট্রিক ব্রন্টির কন্যা অ্যান তার জীবনের বেশিরভাগ সময় ইয়র্কশায়ারের হাওয়ার্থে কাটান। তিনি ১৮৩৬ থেকে ১৯৩৭ সালে মিরফিল্ডে একটি বোর্ডিং স্কুলে পড়াশোনা করেন। ১৯ বছর বয়সে তিনি হাওয়ার্থ ত্যাগ করেন এবং ১৮৩৯ থেকে ১৮৪৫ সালে গৃহশিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষকতা ছাড়ার পর তিনি লেখনী শুরু করেন। তিনি তার বড় দুই বোনের সাথে মিলে ছদ্মনামে পোয়েমস বাই কুরার, এলিস এবং অ্যাক্টন বেল (১৮৪৬) এবং দুটি উপন্যাস প্রকাশ করেন। গৃহশিক্ষিকা থাকাকালীন তার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে রচিত তার প্রথম উপন্যাস অ্যাগনেস গ্রে ১৮৪৭ সালে প্রকাশিত হয়। তার দ্বিতীয় ও শেষ উপন্যাস দ্য টেনান্ট অব ওয়াইল্ডলাইফ হল ১৮৪৮ সালে প্রকাশিত হয়। বইটিকে এখন পর্যন্ত বিদ্যমান প্রথম নারীবাদী উপন্যাস হিসেবে গণ্য করা হয়। দুটি উপন্যাসই তার ছদ্মনাম অ্যাক্টন বেল নামে প্রকাশিত হয়। ১৮৪৮ সালে তার বেল ছদ্মনাম উন্মোচিত হয় এবং পরের বছর তারা তিন বোন লন্ডন লিটারেরি সার্কেলের সাথে যোগ দেন। অ্যান ১৮৪৯ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন, ধারণা করা হয় তিনি যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
অ্যানের মৃত্যুর পর শার্লট ব্রন্টি কর্তৃক দ্য টেনান্ট অব ওয়াইল্ডলাইফ হল বইটির পুনঃপ্রকাশনা স্থগিত রাখার কারণে তিনি তার অন্য বোনদের মত এত খ্যাতি অর্জন করতে পারেননি। তবুও তার উপন্যাসগুলো তার বোনদের উপন্যাসগুলোর মত ইংরেজি সাহিত্যের ধ্রুপদী সাহিত্যকর্ম হিসেবে খ্যাতি লাভ করে।