মৌখিক পুনরুদন থেরাপি
অতিসার বা ডায়রিয়া রোগীর তরল পুনস্থাপন চিকিৎসা পদ্ধতি বা থেরাপী / From Wikipedia, the free encyclopedia
মৌখিক পুনরুদন থেরাপি হলো এমন একধরনের তরল পুনঃস্থাপন থেরাপি বা চিকিৎসা পদ্ধতি যা ব্যবহৃত হয় পানিস্বল্পতার চিকিৎসা হিসেবে, যা কিনা বিশেষত ডায়রিয়া বা অতিসার রোগের জন্যে হয়ে থাকে। এই চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয় খাবার পানি, যার সাথে থাকে বেশ খানিকটা শর্করা বা গ্লুকোজ এবং লবণ, বিশেষত সোডিয়াম ও পটাশিয়াম।[1] মৌখিক পুনরুদন থেরাপি নাসাপথে স্থাপিত খাদ্যনল দ্বারাও দেয়া যায়। থেরাপির মধ্যে চিকিৎসাসূচি অনুসারে জিংক সম্পূরক হিসেবে প্রদান অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। হিসাব অনুযায়ী মৌখিক পুনরুদন থেরাপির দ্বারা ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুহার ৯৩% শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করা সম্ভব।
এই নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ব্যাকরণ, রচনাশৈলী, বানান বা বর্ণনাভঙ্গিগত সমস্যা রয়েছে। |
মৌখিক পুনরুদন থেরাপি | |
---|---|
অন্য নাম | মৌখিক পুনরুদন দ্রবণ (ওআরএস),মৌখিক পুনরুদন লবণ (ওআরএস), গ্লুকোজ-লবণ দ্রবণ-salt solution |
মেশ | D005440 |
ইমেডিসিন | 906999-treatment |
এই পদ্ধতির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে বমি, উচ্চ-রক্তচাপ এবং রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। থেরাপি চলাকালীন যদি বমি হয়, তাহলে নির্দেশনা অনুযায়ী ১০ মিনিট থেরাপি বন্ধ রেখে পুনরায় চালু করতে হবে। নির্দেশিত পদ্ধতি অনুযায়ী এই থেরাপিতে ব্যবহৃত হয় সোডিয়াম ক্লোরাইড, সোডিয়াম সাইট্রেট, পটাশিয়াম ক্লোরাইড এবং শর্করা বা গ্লুকোজ। যদি প্রথম উল্লিখিত এই উপাদানগুলো না পাওয়া যায় তাহলে, গ্লুকোজ জাতীয় শর্করার বদলে সুক্রোজ শর্করা এবং সোডিয়াম সাইট্রেট এর বদলে সোডিয়াম বাই কার্বনেট ব্যবহার করা যাবে। এ পদ্ধতিতে গ্লুকোজ অন্ত্রে সোডিয়ামের শোষণ বাড়িয়ে দেয় এবং ফলাফলস্বরূপ পানির শোষণ ও বৃদ্ধি পায়। এই থেরাপির জন্যে ব্যবহৃত আরো বেশ কিছু প্রস্তুতপ্রণালী রয়েছে যার মধ্যে কিছু প্রস্তুতপ্রণালী ঘরেই সম্পাদন সম্ভব।[2] যদিও ঘরে প্রস্তুতকৃত মিশ্রণের ব্যবহার নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা হয়নি।[3]
মৌখিক পুনরুদন থেরাপির উদ্ভাবন ১৯৪০ সালের দিকে ঘটলেও ১৯৭০ এর আগে এর ব্যবহার তেমনভাবে প্রচলিত হয়নি। [4] মৌখিক পুনরুদন মিশ্রণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অত্যাবশ্যকীয় ঔষধ তালিকা -একটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য সর্বাধিক কার্যকরী এবং নিরাপদ ঔষধগুলোর তালিকার অন্তর্ভুক্ত। ১ লিটার পানির জন্য প্রয়োজনীয় মিশ্রণের পাইকারি মূল্য একটি উন্নয়নশীল দেশে মাত্র ০.০৩ থেকে ০.২০ মার্কিন ডলার হয়ে থাকে। ২০১৫ সালের তথ্যানুযায়ী প্রায় ৪১ শতাংশ শিশু বৈশ্বিকভাবে ডায়রিয়া আক্রান্ত হওয়ার জন্য মৌখিক মৌখিক পুনরুদন থেরাপি গ্রহণ করে থাকে। এই থেরাপির ব্যবহার অনূর্ধ্ব ৫ বছর বয়সী শিশু মৃত্যুর হার কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। [5]