মাজুলী
From Wikipedia, the free encyclopedia
মাজুলী (অসমীয়া: মাজুলী)[1][2][3] ভারতের অসমের ব্রহ্মপুত্র নদীর মধ্যে থাকা বিশ্বের সর্ববৃহৎ নদীদ্বীপ এবং অসমের নবগঠিত জেলা। ২৭ জুন ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোণোয়াল মাজুলীকে জেলা ঘোষণা করায় মাজুলী ভারতের প্রথম নদীদ্বীপ জেলা হয় আর অসমের মোট জেলার সংখ্যা হয় ৩৩।[4]
ভূগোল | |
---|---|
অবস্থান | ব্রহ্মপুত্র নদ |
স্থানাঙ্ক | ২৬°৫৭′০″ উত্তর ৯৪°১০′০″ পূর্ব |
আয়তন | ৮৮০ বর্গকিলোমিটার (৩৪০ বর্গমাইল) |
সর্বোচ্চ উচ্চতা | ৮৪.৫ মিটার (২৭৭.২ ফুট) |
প্রশাসন | |
রাজ্য | আসাম |
জেলা | মাজুলী (২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ৮ সেপ্টেম্বর যোরহাট জেলা থেকে নবগঠিত) |
জনপরিসংখ্যান | |
জনসংখ্যা | ১,৬৭,৩০৪ (২০১১) |
জনঘনত্ব | ৩০০ /বর্গ কিমি (৮০০ /বর্গ মাইল) |
জাতিগত গোষ্ঠীসমূহ | মিশিং, দেউরি, সোনোয়াল কাছাড়ি, কোচ, আহোম, শুতীয়া, কলিতা, ব্রাহ্মণ, কৈবর্ত, সূত, নাথ(যোগী) |
অতিরিক্ত তথ্য | |
সময় অঞ্চল | |
পিন | ৭৮৫১০২, ৭৮৫১০৪, ৭৮৫১০৫, ৭৮৫১০৬, ৭৮৫১১০ |
টেলিফোন কোড | ০৩৭৭৫ |
যানবাহন নিবন্ধীকরণ | AS-29 (এএস-২৯) |
ডেপুটি কমিশনার বিক্রম কৈরী |
আগে এটি যোরহাট জেলার একটা মহকুমা ছিল। মহাপুরুষ শ্রীমন্ত শংকরদেব এবং মাধবদেবের উদ্যোগের সত্রসমূহ নিয়ে এটি মহাপুরুষীয়া বৈষ্ণবধর্ম ও সত্রীয়া সংস্কৃতির পীঠকেন্দ্র। মাজুলীকে 'সত্র নগরী' বলেও ডাকা হয়। আগে মাজুলীর মোট আয়তন ১২৫০ বর্গমাইল[5] (৪৮৩ বর্গমাইল) ছিল, কিন্তু খননের ফলে ২০০১ সালে এর ক্ষেত্রফল হয় ১৬৩ বর্গমাইল। একে ঘিরে থাকা নদীর বিস্তৃতি বেড়ে আসার সাথে মাজুলীর সংকোচন হয়েছে।
দক্ষিণে ব্রহ্মপুত্র নদী ও উত্তরে শোবনশিরি নদীর মিলন হয়ে এই দ্বীপের সৃষ্টি হয়েছে। যোরহাট থেকে ফেরীর সাহায্যে জলপথে মাজুলিতে যাতায়ত করার ব্যবস্থা আছে। মাজুলী দ্বীপ অসমের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে প্রায় ২০০ দূরত্বে অবস্থিত।