বিল গেটস
মার্কিন উদ্যোক্তা / From Wikipedia, the free encyclopedia
উইলিয়াম হেনরি গেটস তৃতীয় (জন্ম ২৮ অক্টোবর, ১৯৫৫) একজন আমেরিকান ব্যবসায়িক মহারথী, সফটওয়্যার বিকাশকারী, বিনিয়োগকারী, লেখক এবং সমাজসেবী। তিনি মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।[1][2] মাইক্রোসফ্টে কর্মজীবন চলাকালীন গেটস চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান সফটওয়্যার আর্কিটেক্টের পদে ছিলেন এবং মে ২০১৪ অবধি বৃহত্তম স্বতন্ত্র শেয়ারহোল্ডারও ছিলেন। তিনি ১৯৭০ ও ১৯৮০ এর দশকের মাইক্রোকম্পিউটার বিপ্লবের অন্যতম সেরা উদ্যোক্তা এবং পথিকৃৎ।
বিল গেটস | |
---|---|
জন্ম | William Henry Gates III (1955-10-28) ২৮ অক্টোবর ১৯৫৫ (বয়স ৬৮) |
শিক্ষা | হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় (ঝরে পরা) |
পেশা |
|
কর্মজীবন | ১৯৭৫-বর্তমান |
পরিচিতির কারণ | সহ-প্রতিষ্ঠাতা মাইক্রোসফ্ট |
উপাধি |
|
দাম্পত্য সঙ্গী | মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ (বি. ১৯৯৪; বিচ্ছেদ ২০২৪) |
সন্তান | ৩ |
পিতা-মাতা | বিল গেটস সিনিয়র মেরি ম্যাক্সওয়েল |
ওয়েবসাইট | www |
স্বাক্ষর | |
গেটস ওয়াশিংটনের সিয়াটলে জন্মগ্রহণ করেন এবং বেড়ে ওঠেন। ১৯৭৫ সালে তিনি নিউ মেক্সিকো এর আলবুকার্কে শৈশবের বন্ধু পল অ্যালেনের সাথে মাইক্রোসফ্টের সহ-প্রতিষ্ঠা করেছিলেন; যা পরবর্তীতে বিশ্বের বৃহত্তম ব্যক্তিগত কম্পিউটার সফ্টওয়্যার সংস্থা হয়ে উঠে।[3][6] ২০০০ সালের জানুয়ারিতে সিইও হিসাবে পদত্যাগ না করা পর্যন্ত গেটস চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে কোম্পানির নেতৃত্বে ছিলেন, তবে সিইও হিসাবে পদত্যাগ করার পরও তিনি চেয়ারম্যান ছিলেন এবং প্রধান সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট হিসেবে নিযুক্ত হন।[7] নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে তিনি তার ব্যবসায়িক কৌশলগুলির জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন, যা প্রতিযোগী বিরোধী হিসাবে বিবেচিত হয়। আদালতের অসংখ্য রায় এই মতামত বহাল রেখেছে।[8] ২০০৬ সালের জুন মাসে গেটস ঘোষণা করেন তিনি মাইক্রোসফ্টে খণ্ডকালীন ভূমিকায় কাজ এবং তিনি ও তার স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস ২০০০ সালে যে বেসরকারী দাতব্য ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন তাতে পূর্ণকালীন কাজ করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন।[9] তিনি ধীরে ধীরে তার দায়িত্বগুলি রে ওজি এবং ক্রেগ মুন্ডির কাছে স্থানান্তরিত করেন।[10] তিনি ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাইক্রোসফ্টের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং সদ্য নির্ধারিত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সত্য নাদেলাকে সমর্থন করার জন্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসাবে একটি নতুন পদ গ্রহণ করেন।[11] ২০২০ সালের মার্চ মাসে গেটস জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্ব স্বাস্থ্য ও উন্নয়ন, এবং শিক্ষাসহ তার জনহিতকর প্রচেষ্টায় মনোনিবেশ করার জন্য মাইক্রোসফ্ট এবং বার্কশায়ার হ্যাথওয়েতে তার বোর্ডের অবস্থান ছেড়ে দেন।[12]
১৯৮৭ সাল থেকে, তিনি বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের ফোর্বসের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।[13][14] ১৯৯৫ থেকে ২০১৭ অবধি তিনি চারবছর বাদে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির ফোর্বস খেতাব অর্জন করেছিলেন।[15] ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও জেফ বেজোস গেটসকে সরিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী হয়েছিলেন। তখন তার আনুমানিক নিট সম্পত্তির মূল্য $90.6 বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল এবং গেটসের নিট সম্পত্তি ছিল $৮৯.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।[16] ২০২১ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত, গেটসের মোট মূল্য ছিল ১৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা তাকে বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি বানিয়েছে।[17]
পরবর্তীকালে তার কর্মজীবনে এবং ২০০৮ সালে মাইক্রোসফ্ট ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে গেটস বহু জনহিতকর কাজ চালিয়ে যান। তিনি বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন দাতব্য সংস্থাগুলি এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণা কর্মসূচিকে প্রচুর পরিমাণে অর্থ প্রদান করেছেন, যা বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনকে বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারী দাতব্য সংস্থা হিসাবে স্বীকৃতি দান করেছে।[18] ২০০৯ সালে, গেটস এবং ওয়ারেন বাফেট দ্য গিভিং প্লেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যার মাধ্যমে তারা এবং অন্যান্য ধনকুবেররা তাদের সম্পদের কমপক্ষে অর্ধেক দান করার প্রতিশ্রুতি দেয়।[19]