বালকপ্রীতি
From Wikipedia, the free encyclopedia
বালকপ্রীতি বলতে কিশোর বালকের প্রতি একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের যৌন আকর্ষণ ও সম্পর্ক বোঝায়। পেডেরাস্টি (pederasty) শব্দটির উৎস নিহিত রয়েছে গ্রিক παῖς (pais; অর্থাৎ "শিশু, বালক") এবং ἐραστής (erastēs; "প্রেমিক") শব্দদুটির সমন্বয়ে সৃষ্ট (paiderastia) শব্দটির মধ্যে; যার অর্থ "বালকপ্রীতি" বা "বালককাম"("love of boys")।[1]
পেডেরাস্টি |
প্রাচীন গ্রিস · Classical relationships · গ্রিক দর্শন |
Historical relationships · রেনেসাঁ |
আলবেনিয়া · Japan · মধ্যপ্রাচ্য · Shudo |
Pederasty in film |
ঐতিহাসিকভাবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মধ্যে নানান প্রথা, রীতিনীতি ও অভ্যাসের আকারে বালকপ্রীতি বিরাজমান ছিল এবং আছে। ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে বালকপ্রীতির প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি নানা আঙ্গিকে পরিবর্তিত হয়েছে। কখনও এই জাতীয় সম্পর্ককে শিক্ষামূলক সম্পর্ক মনে করা হয়েছে; আবার কখনও একে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে পরিব্যাপ্ত এথেনিয়ান পেডেরাস্টি ইউরোপের ইতিহাসে বালকপ্রেমের সর্বাপেক্ষা সুসংহত সাংস্কৃতিক রূপে বিরাজমান ছিল। তৎকালীন গ্রিসে সাংস্কৃতিক বিতর্কের অন্যতম বিষয়বস্তু ছিল বালকপ্রীতির বিবিধ রূপ। এহেন বিতর্কে দেহকেন্দ্রিক বালকপ্রীতিকে পেডেরাস্টির কামোদ্দীপক অথচ আধ্যাত্মিক মধ্যপন্থী রূপগুলির সঙ্গে তুলনা করে উক্ত দ্বিতীয় প্রকারের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপাদন করা হত।
একুশ শতাব্দীর আধুনিক বিশ্বে বালকপ্রীতি বলতে এর ঐতিহাসিক ধারণার পরিবর্তে সচরাচর সমকামীদের বালককাম বোঝায় — যে ক্ষেত্রে বালক বা কিশোরের বয়স আইনগতভাবে যৌনসম্পর্ক স্থাপনের নিয়ামক হিসেবে গণ্য। নারী বা পুরুষ যে-ই উদ্যোগী হোক না কেন, আইনবিধৃত বয়সের নিচে কোনো বালক বা কিশোরের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপন অধিকাংশ দেশেই দণ্ডযোগ্য অপরাধ এবং শিশু যৌন নিগ্রহের পর্যায়ভুক্ত। তবে দুজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক পরস্পরে আসক্ত হলে এর সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে আইনি বিধান অনুপস্থিত।