প্রাচীন গ্রিসে সমকামিতা
From Wikipedia, the free encyclopedia
প্রাচীন যুগে হেরোডোটাস,[1] প্লেটো,[2] জেনোফোন,[3] অ্যাথেনেউস,[4] ও অন্যান্য লেখকদের রচনা থেকে প্রাচীন গ্রিসে সমকামিতা প্রসঙ্গে নানা তথ্য পাওয়া যায়। প্রাচীন গ্রিসে বহুল প্রচলিত ও সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সমকামী যৌনসম্পর্কটি ছিল পেডেরাস্টি বা প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও সদ্যকিশোর বা পূর্ণকিশোর বালকদের মধ্যেকার যৌনসম্পর্ক (প্রাচীন গ্রিসের বিবাহপ্রথাও ছিল বয়সভিত্তিক; তিরিশ বছর পার করা পুরুষেরা সদ্যকিশোরীদের বিয়ে করত।)। পূর্ণবয়স্ক পুরুষদের মধ্যেও যৌনসম্পর্ক স্থাপিত হত। অনন্তপক্ষে এই জাতীয় সম্পর্কের একজনকে সামাজিক অনুষ্ঠানে যৌনসম্পর্কে গ্রহীতার ভূমিকা নেওয়ার জন্য উপহাস করা হত। নারী-সমকামিতার বিষয়টি প্রাচীন গ্রিসে ঠিক কী চোখে দেখা হত, তা স্পষ্ট নয়। তবে নারী-সমকামিতাও যে স্যাফোর যুগ থেকে গ্রিসে প্রচলিত ছিল, তা জানা যায়।[5]
বিগত শতাব্দীতে পাশ্চাত্য সমাজে যৌনপ্রবৃত্তিকে যেমন সামাজিক পরিচিতির মাপকাঠি হিসেবে দেখা হয়েছে, প্রাচীন গ্রিসে তা হত না। গ্রিক সমাজে যৌন কামনা বা আচরণকে সংগমকারীদের লিঙ্গ অনুযায়ী ভাগ করে দেখা হত না; দেখা হত যৌনক্রিয়ার সময় সংগমকারীরা কে নিজের পুরুষাঙ্গ সঙ্গীর দেহে প্রবেশ করাচ্ছে, বা সঙ্গীর পুরুষাঙ্গ নিজের শরীরে গ্রহণ করছে, তার ভিত্তিতে।[5] এই দাতা/গ্রহীতা বিভেদটি সামাজিক ক্ষেত্রে কর্তৃত্বকারী ও শাসিতের ভূমিকা নিত: অপরের শরীরে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করানো পৌরুষ, উচ্চ সামাজিক মর্যাদা ও প্রাপ্তবয়স্কতার প্রতীক ছিল। অন্যদিকে অপরের পুরুষাঙ্গ নিজের শরীরে গ্রহণ করা ছিল নারীত্ব, নিম্ন সামাজিক মর্যাদা ও অপ্রাপ্তবয়স্কতার প্রতীক।[5]