জেমস চ্যাডউইক
পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী / From Wikipedia, the free encyclopedia
স্যার জেমস চ্যাডউইক, সিএইচ, এফআরএস (২০ অক্টোবর ১৮৯১ – ২৪ জুলাই ১৯৭৪) ছিলেন একজন ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি ১৯৩২ সালে নিউট্রন আবিষ্কার করেন এবং এই অবদানের জন্য ১৯৩৫ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৪১ সালে তিনি মাউড প্রতিবেদনের চূড়ান্ত পাণ্ডুলিপি লিখেন, যা মার্কিন সরকারকে পারমাণবিক বোমা নিয়ে ঐকান্তিকভাবে গবেষণা শুরু করতে অনুপ্রাণিত করে। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ম্যানহাটন প্রকল্পে কর্মরত ব্রিটিশ দলের প্রধান ছিলেন। পদার্থবিজ্ঞানে তার অবদানের জন্য ১৯৪৫ সালে তিনি নাইট খেতাবে ভূষিত হন।
স্যার জেমস চ্যাডউইক সিএইচ, এফআরএস | |
---|---|
জন্ম | (১৮৯১-১০-২০)২০ অক্টোবর ১৮৯১ |
মৃত্যু | ২৪ জুলাই ১৯৭৪(1974-07-24) (বয়স ৮২) |
জাতীয়তা | ইংরেজ |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ |
মাতৃশিক্ষায়তন | |
পরিচিতির কারণ |
|
পুরস্কার |
|
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | পদার্থবিজ্ঞান |
প্রতিষ্ঠানসমূহ |
|
ডক্টরেট শিক্ষার্থী | |
চ্যাডউইক ১৯১১ সালে ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টার থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। সেখানে তিনি "নিউক্লীয় পদার্থবিজ্ঞানের জনক"[2] হিসেবে খ্যাত আর্নেস্ট রাদারফোর্ডের শিক্ষার্থী ছিলেন। ম্যানচেস্টারে তিনি ১৯১৩ সালে বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন পর্যন্ত রাদারফোর্ডের অধীনে অধ্যয়ন করেন। ১৯১৩ সালে চ্যাডউইক [[রয়্যাল কমিশন ফর দ্য এক্সিবিশন অব ১৮৫১]] থেকে ১৮৫১ রিসার্চ ফেলোশিপ অর্জন করেন। তিনি বার্লিনে হান্স গাইগারের অধীনে বিটা বিকিরণ নিয়ে অধ্যয়নের জন্য নির্বাচিত হন। চ্যাডউইক গাইগারের সদ্য আবিষ্কৃত গাইগার কাউন্টার ব্যবহার করে দেখান যে বিটা বিকিরণ পূর্বে অনুমিত বিযুক্ত রেখার মত নয় বরং ধারাবাহিক বর্ণচ্ছটা তৈরি করে। ইউরোপে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে তিনি তখনও জার্মানিতে অবস্থান করছিলেন, এবং পরবর্তী চার বছর রুলেবেন ইন্টার্নমেন্ট ক্যাম্পে কাটান।
যুদ্ধের পর চ্যাডউইক কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাভেন্ডিশ ল্যাবরেটরিতে রাদারফোর্ডের সাথে যোগ দেন। সেখানে রাদারফোর্ডের তত্ত্বাবধানে গনভিল অ্যান্ড কিজ কলেজ, কেমব্রিজ থেকে ১৯২১ সালের জুন মাসে তিনি ডক্টর অব ফিলোসফি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি এক দশকের বেশি সময় ক্যাভেন্ডিশ ল্যাবরেটরিতে রাদারফোর্ডের গবেষণার সহকারী পরিচালক ছিলেন, তখন এটি পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়নের জন্য বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ছিল, যা জন ককক্রফট, নরমান ফিদার, মার্ক ওলিফান্ট-দের মত শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করেছিল। চ্যাডউইক নিউট্রন আবিষ্কার করে এবং প্রত্যাশা করেছিলেন যে নিউট্রন ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হবে। ১৯৩৫ সালে তিনি ক্যাভেন্ডিশ ল্যাবরেটরি ছেড়ে লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। সেখানে তিনি একটি অপ্রচলিত গবেষণাগার খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন এবং সাইক্লোট্রন বসিয়ে একে নিউক্লীয় পদার্থবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত করেন।