লুইস সুয়ারেস
উরুগুয়েয়ীয় ফুটবলার / From Wikipedia, the free encyclopedia
লুইস আলবের্তো সুয়ারেস দিয়াস (আমেরিকান স্পেনীয়: [ˈlwis ˈswaɾes]; জন্ম: ২৪ জানুয়ারি ১৯৮৭) একজন উরুগুয়ের পেশাদার ফুটবলার। তিনি উরুগুয়ে জাতীয় দল এবং মেজর লিগ সকার ক্লাব ইন্টার মায়ামির ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলেন।[1] তার প্রজন্মের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার[2] হিসেবে গণ্য সুয়ারেস তার কর্মজীবনে ক্লাব পর্যায়ে সাতটি লিগ শিরোপা ও একটি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা এবং উরুগুয়ের হয়ে একটি কোপা আমেরিকাসহ মোট ১৯টি শিরোপা জয় করেছেন। দক্ষ গোলদাতা সুয়ারেস দুটি ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু, একটি এরেদিভিসি গোল্ডেন বুট, একটি প্রিমিয়ার লিগ গোল্ডেন বুট জিতেছেন এবং ২০১৬ সালে লা লিগার পিচিচি ট্রফি জিতে ছয় বছর ব্যাপী লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর দৌড়াত্বের সমাপ্তি ঘটিয়েছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | লুইস আলবের্তো সুয়ারেস দিয়াস | ||||||||||||||||
জন্ম | (1987-01-24) ২৪ জানুয়ারি ১৯৮৭ (বয়স ৩৭) | ||||||||||||||||
জন্ম স্থান | সালতো, উরুগুয়ে | ||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮২ মি (৬ ফু ০ ইঞ্চি) | ||||||||||||||||
মাঠে অবস্থান | ফরোয়ার্ড | ||||||||||||||||
ক্লাবের তথ্য | |||||||||||||||||
বর্তমান দল | ইন্টার মায়ামি | ||||||||||||||||
জার্সি নম্বর | ৯ | ||||||||||||||||
যুব পর্যায় | |||||||||||||||||
২০০৩-২০০৫ | নাসিওনাল | ||||||||||||||||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||||||||||||||||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) | ||||||||||||||
২০০৫-২০০৬ | নাসিওনাল | ২৭ | (১০) | ||||||||||||||
২০০৬-২০০৭ | গ্রোনিঙ্গেন | ২৯ | (১০) | ||||||||||||||
২০০৭-২০১১ | আয়াক্স | ১১০ | (৮১) | ||||||||||||||
২০১১-২০১৪ | লিভারপুল | ১১০ | (৬৯) | ||||||||||||||
২০১৪-২০২০ | বার্সেলোনা | ১৯১ | (১৪৭) | ||||||||||||||
২০২০–২০২২ | আতলেতিকো মাদ্রিদ | ৬৭ | (৩২) | ||||||||||||||
২০২২ | নাসিওনাল | ১৪ | (৮) | ||||||||||||||
২০২৩ | গ্রেমিয়ো | ৪৫ | (২৪) | ||||||||||||||
২০২৪- | ইন্টার মায়ামি | ৫ | (৪) | ||||||||||||||
জাতীয় দল‡ | |||||||||||||||||
২০০৬-২০০৭ | উরুগুয়ে অনূর্ধ্ব-২০ | ৪ | (২) | ||||||||||||||
২০১২ | উরুগুয়ে অনূর্ধ্ব-২৩ | ৩ | (৩) | ||||||||||||||
২০০৭- | উরুগুয়ে | ১৩৮ | (৬৮) | ||||||||||||||
অর্জন ও সম্মাননা
| |||||||||||||||||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ২০ মার্চ ২০২৪ তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ২০ মার্চ ২০২৪ তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
সুয়ারেস তার পেশাদার জীবন শুরু করেন উরুগুয়ের নাশিওনাল এর হয়ে ২০০৫ সালে। ২০০৬ সালে তিনি যোগ দেন নেদারল্যান্ডের গ্রোনিঙ্গেন ক্লাবে যোগ দেন। ২০০৭ সালে তিনি আরেক ডাচ ক্লাব আয়াক্স এ যোগ দেন ও ২০১১ পর্যন্ত সেখানে খেলেন। ২০১১ সালে সুয়ারেস ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ এর দল লিভারপুল এ যোগ দেন। সেখানে তিনি ২০১৪ পর্যন্ত কাটান। ২০১৪ সালে লুইস সুয়ারেস স্পেনের লা লিগার দল বার্সেলোনায় যোগ দেন। ২৫ অক্টোবর ২০১৪ বার্সেলোনার হয়ে রিয়াল মাদ্রিদ এর বিপক্ষে তার অভিষেক হয়।
সুয়ারেস উরুগুয়ে অনূর্ধ্ব-২০ ও অনূর্ধ্ব-২৩ দলে খেলেছেন। ২০০৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কলম্বিয়ার বিপক্ষেতার উরুগুয়ের হয়ে অভিষেক হয়। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুয়ারেস উরুগুয়ের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা। তিনি ফিফা বিশ্বকাপের তিনটি আসরে, কোপা আমেরিকার তিনটি আসরে এবং ২০১২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক ও ২০১৩ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপে তিনি তিনটি গোল করেন এবং তার দল এই আসরে চতুর্থ স্থান অর্জন করে। ২০১১ কোপা আমেরিকা আসরে সুয়ারেস চারটি গোল করেন ও উরুগুয়ে এই আসর জেতার মধ্য দিয়ে রেকর্ড ১৫ বার কোপা আমেরিকা জয় লাভ করে। সুয়ারেস এই আসরের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপে তিনি তার ৪০তম আন্তর্জাতিক গোল করেন এবং ইতালির রক্ষণভাগের খেলোয়াড় জর্জো কিয়েল্লিনিকে কামড় দেওয়ার জন্য এই আসর থেকে বহিষ্কৃত হন।