বাহামা দ্বীপপুঞ্জ
উত্তর আমেরিকার দেশ / From Wikipedia, the free encyclopedia
বাহামা দ্বীপপুঞ্জ( /bəˈhɑːməz/ /bəˈhɑːməz/ ), অফিসিয়ালি কমনওয়েলথ অফ দ্য বাহামাস নামে পরিচিত,[8] আটলান্টিক মহাসাগরের ওয়েস্ট ইন্ডিজের লুকায়ান দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত একটি দেশ।[9]
বাহামা দ্বীপপুঞ্জের কমনওয়েলথ বাহামা দ্বীপপুঞ্জ | |
---|---|
নীতিবাক্য: "Forward, Upward, Onward Together" | |
জাতীয় সঙ্গীত: "বাহামাসে পদযাত্রা " | |
রাজধানী | নাসাউ |
সরকারি ভাষা | ইংরেজি |
সরকার | সংসদীয় গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক রাজতন্ত্র[1][2] |
• রাজা | তৃতীয় চার্লস |
• গভর্নর জেনারেল | আর্থার দিওন হান্না |
• প্রধানমন্ত্রী | হিউবার্ট ইনগ্রাহাম |
স্বাধীন [যুক্তরাজ্য]থেকে | |
• Self-governing | ১৯৬৪ |
• পূর্ন স্বাধীন | ১০ জুলাই, ১৯৭৩[3] |
আয়তন | |
• মোট | ১৩,৮৭৮ কিমি২ (৫,৩৫৮ মা২) (১৬০তম) |
• পানি (%) | ২৮% |
জনসংখ্যা | |
• ২০০৯ আনুমানিক | ৩০৭,৪৫১[4] (১৭৭তম) |
• ১৯৯০ আদমশুমারি | ২৫৪,৬৮৫ |
• ঘনত্ব | ২৩.২৭/কিমি২ (৬০.৩/বর্গমাইল) (১৮১তম) |
জিডিপি (পিপিপি) | 2017 আনুমানিক |
• মোট | $9.374 billion[5] |
• মাথাপিছু | $25,173[5] |
জিডিপি (মনোনীত) | 2017 আনুমানিক |
• মোট | $9.172 billion[5] |
• মাথাপিছু | $24,630[5] |
জিনি (2001) | 57[6] উচ্চ |
মানব উন্নয়ন সূচক (2014) | 0.790[7] উচ্চ · 55th |
মুদ্রা | ডলার (BSD) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি-৫ (EST) |
ইউটিসি-৪ (EDT) | |
কলিং কোড | ১-২৪২ |
ইন্টারনেট টিএলডি | .bs |
এটি লুকায়ান দ্বীপপুঞ্জের ভূমির ৯৭% জুড়ে অবস্থিত এবং দ্বীপপুঞ্জের ৮৮% জনসংখ্যার বাসস্থান । সমগ্র দ্বীপপুঞ্জ ৭০০এর বেশি দ্বীপ, অণুদ্বীপ, প্রবালদ্বীপ নিয়ে গঠিত। দ্বীপটি আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যে, কিউবার উত্তরে অবস্থিত, হিস্পানিওলা (হাইতি এবং ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র )এবং তুর্কস ও কাইকোস দ্বীপপুঞ্জের উত্তর-পশ্চিমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্ ফ্লোরিডার দক্ষিণ-পূর্বে এবং ফ্লোরিডা র পূর্বে অবস্থিত। এর রাজধানী নাসাউ নিউ প্রভিডেন্স দ্বীপে অবস্থিত। দ্য রয়েল বাহামাস ডিফেন্স ফোর্সের তথ্য অনুযায়ী বাহামা ৪,৭০,০০০ কিমি২ (১,৮০,০০০ মা২) সমুদ্রপৃষ্ঠ জুড়ে রয়েছে ।[10]
বাহামা দ্বীপপুঞ্জের আদি বাসিন্দাদের বলা হয় লুকায়ান যারা ছিল আরকান ভাষী তাইনোদের একটি শাখা[11]। লুকায়ানরা ছিল নিরীহ শান্তিপ্রিয় জাতি। কলম্বাসই প্রথম ইউরোপীয় যিনি ১৪৯২ সালে "নতুন পৃথিবী " হিসেবে এ দ্বীপ আবিষ্কার করেন। কলম্বাসকে অনুসরণ করে পরবর্তীকালে যে সব স্প্যানিশরা বাহামায় আসে তারা স্থানীয় লুকায়ানদের সম্পত্তি কেড়ে নিয়ে তাদের দূরের দ্বীপে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রী করে দেয়। যার ফলে বাহামা দ্বীপপুঞ্জ ১৫১৩ থেকে ১৬৪৮ সাল পর্যন্ত প্রায় জনমানবহীন ছিল যতদিন না ইংরেজ ঔপনিবেশিকরা এখানে বসতি স্থাপন শুরু করে। ইংরেজরা বাহামা সংলগ্ন সমুদ্রপথে জলদস্যুদের উপদ্রব বন্ধ করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়। ১৭১৮ সালে বাহামা দ্বীপপুঞ্জ ব্রিটিশ রয়েল কলোনী হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
মার্কিন স্বাধীনতা যুদ্ধে ইংরাজদের পরাজয়ের পর হাজার হাজার ইংরাজ অনুগামী তাদের ক্রীতদাসদের নিয়ে আমেরিকা থেকে বাহামায় চলে আসে ও বৃটিশ সরকারের অনুদান পাওয়া জমিতে আবাদের, প্রধানত তুলাচাষের, কাজ শুরু করে। সেই আফ্রিকান ক্রীতদাস ও তাদের বংশধররাই বর্তমান বাহামার সিংহভাগ জনসংখ্যা গঠন করে ।
১৮০৭ সালে বৃটিশ সরকার আন্তর্দেশীয় দাসব্যবসায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এসময় অবৈধভাবে দাসব্যবসায়ে লিপ্ত এরকম বহু জাহাজ থেকে ইংরাজ রয়েল নেভি ক্রীতদাসদের মুক্ত করে ও তাদের বাহামায় পুনর্বাসিত করা হয়। ১৮২০ সালে সেমিনোল যুদ্ধের সময় কিছু উত্তর আমেরিকান ক্রীতদাস ও সেমিনোল ফ্লোরিডা থেকে পালিয়ে বাহামায় চলে আসে। তবে বাহামার অভ্যন্তরে, প্রধানত আবাদগুলিতে, ক্রীতদাসপ্রথা চালু ছিল ১৮৩৪ সাল পর্যন্ত। ১৮৩৪ সালে বৃটিশ সরকার আইন করে দাসপ্রথার সম্পূর্ণ বিলুপ্তি ঘটালে বাহামাতেও এর অবসান ঘটে। বর্তমানে আফ্রো-বাহামিয়ানদের সংখ্যা ৩৩২,৬৩৪ জন যা মোট জনসংখ্যার ৯০%।
১৯৭৩ সাল পর্যন্ত বাহামা ইংরাজ শাসনের অধীনে ছিল যদিও স্বায়ত্তশাসনের দাবি প্রধানত কৃষ্ণাঙ্গদের তরফ থেকে ক্রমশই বাড়ছিল। ১৯৭৩ সালের ১০ জুলাই বাহামা স্বাধীনতা অর্জন করে ও স্যার লিনডেন পিন্ডলিং এর নেতৃত্বে মন্ত্রীসভা গঠিত হয়। বাহামা কমনওয়েল্থ রিয়াল্মসের সদস্য় যাদের শীর্ষপদে রয়েছেন রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ[12]। বাহামা আমেরিকার অন্যতম ধনী রাষ্ট্র(মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার পরই এর স্থান)। এর অর্থনৈতিক উন্নতির মূল কারণ হচ্ছে পর্যটন শিল্প ও আন্তর্জাতিক আর্থিক পরিষেবা।[13]