বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশন
বাংলাদেশের একটি বিলুপ্ত সরকারি কমিশন / From Wikipedia, the free encyclopedia
বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশন হলো কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা সনদের সরকারি স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারের গঠিত একটি কমিশন। শাহ আহমদ শফীকে সভাপতি করে এই কমিশনের সদস্য সংখ্যা ছিল ১৭ জন। কমিশন গঠনের পর মতবিরোধ, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আন্দোলন সহ নানা কারণে কমিশনের কার্যক্রম থমকে যায়। এরই মধ্যে ‘বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৩’ বিরোধিতার মুখে বাস্তবায়ন করা যায় নি। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সরকার পুনরায় কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা সনদের স্বীকৃতির উদ্যোগ নেয়। এজন্য ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে পূর্বের ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি সক্রিয় করে কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে ২০১৮ সালে আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অধীন কওমি মাদ্রাসা সমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান প্রদান আইন, ২০১৮ পাস করা হয়।
গঠিত | ১৫ এপ্রিল ২০১২ (2012-04-15) |
---|---|
বিলুপ্ত | ৯ জানুয়ারি ২০১৭ (2017-01-09) |
ধরন | সরকারি |
উদ্দেশ্য | কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা-ব্যবস্থাপনা, শিক্ষাদানের বিষয় এবং শিক্ষা সনদের সরকারি স্বীকৃতিতে সুপারিশমালা প্রণয়ন |
সদরদপ্তর | ঢাকা |
যে অঞ্চলে কাজ করে | বাংলাদেশ |
সদস্যপদ | ১৭ |
চেয়ারম্যান | শাহ আহমদ শফী |
কো-চেয়ারম্যান | ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ |
সদস্য সচিব | রুহুল আমিন |
অনুমোদন | শিক্ষা মন্ত্রণালয় |
মন্তব্য | ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ৯ সদস্যের একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠিত হয় |