গবেষণা
From Wikipedia, the free encyclopedia
গবেষণা হলো, জ্ঞানের মজুদ বাড়ানোর জন্য করা সৃজনশীল এবং পদ্ধতিগত কাজ।[1] গবেষণায় একটি বিষয়কে বোঝার জন্য প্রমাণ সংগ্রহ, সংগঠন এবং বিশ্লেষণ করা হয়। এতে পক্ষপাত এবং ত্রুটির উৎস নিয়ন্ত্রণ করার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেয়া হয়। গবেষণার মূল উদ্দেশ্য হলো, বাস্তবিক কোনো সমস্যার সমাধান করা। গবেষণা একটি ধারাবাহিক কার্যপ্রক্রিয়া যা নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ এর মাধ্যমে সম্পাদিত হয়ে থাকে। একটি গবেষণা প্রকল্প অতীতে সম্পন্ন কোনো কাজের সম্প্রসারণ হতে পারে। গবেষণায় কোনো যন্ত্র, পদ্ধতি বা পরীক্ষা-নিরীক্ষার বৈধতা যাচাই করার জন্য পূর্বের প্রকল্পের উপাদান বা সমগ্র প্রকল্পের পুনরাবৃত্তি করা যায়।
প্রয়োগিত গবেষণার বিপরীতে মৌলিক গবেষণার প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো, মানব জ্ঞানের অগ্রগতির জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা ও পদ্ধতি দস্তাবেজিকরণ, আবিষ্কার, ব্যাখ্যা এবং গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D)। গবেষণার পদ্ধতিগুলো জ্ঞানবিজ্ঞানের উপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে মানববিদ্যা ও বিজ্ঞান উভয়ের মধ্যে যথেষ্ট পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। গবেষণার বিভিন্ন রূপ রয়েছে: বৈজ্ঞানিক, মানবিক, শৈল্পিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসা, বিপণন, অনুশীলনকারী গবেষণা, জীবন, প্রযুক্তিগত, ইত্যাদি। গবেষণা অনুশীলনের বৈজ্ঞানিক অধ্যয়নকে মেটা-গবেষণা বলা হয়।
গবেষক হলেন, এমন একজন ব্যক্তি যিনি গবেষণা পরিচালনায় নিযুক্ত, যা সম্ভবত আনুষ্ঠানিক চাকরির শিরোনামে একটি পেশা হিসাবে স্বীকৃত। সামাজিক গবেষক বা সমাজ বিজ্ঞানী হওয়ার জন্য, একজনের সামাজিক বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত যে বিষয়ে তারা বিশেষায়িত, সে বিষয়ে প্রচুর জ্ঞান থাকতে হবে। একইভাবে, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান গবেষক হওয়ার জন্য, একজন ব্যক্তির প্রাকৃতিক বিজ্ঞান (পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা, প্রাণীবিদ্যা ইত্যাদি) সম্পর্কিত ক্ষেত্রের জ্ঞান থাকতে হবে।