এভারেস্ট পর্বত
পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ ( ৮,৮৪৮ মিটার ) / From Wikipedia, the free encyclopedia
এভারেস্ট পর্বত বা মাউন্ট এভারেস্ট (ইংরেজি: Mount Everest), যা নেপালে সগরমাথা (নেপালি: सगरमाथा) এবং তিব্বতে চোমোলাংমা (তিব্বতি: ཇོ་མོ་གླང་མ, ওয়াইলি: jo mo glang ma) নামে পরিচিত, বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। এই শৃঙ্গটি হিমালয়ের মহালঙ্গুর হিমাল পর্বতমালায় অবস্থিত।[3][4] সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে এর উচ্চতা ৮,৮৪৮ মিটার (২৯,০২৯ ফু) হলেও পৃথিবীর কেন্দ্র হতে এই শৃঙ্গের দূরত্ব সর্বাধিক নয়।[5] চীন ও নেপালের আন্তর্জাতিক সীমান্ত এভারেস্ট পর্বতের শীর্ষবিন্দু দিয়ে গেছে। এভারেস্ট বিজয়ী মূসা ইব্রাহিম জানিয়েছেন এভারেস্ট শৃঙ্গের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ হলো ৩০ ফুট ও ৬ ফুট। ১৮৫৬ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের মহান ত্রিকোণমিতিক সর্বেক্ষণের ফলে এভারেস্ট পর্বতের (যা তৎকালীন যুগে ১৫ নং পর্বতশৃঙ্গ নামে পরিচিত ছিল) উচ্চতা নির্ণয় করা হয় ৮,৮৪০ মি (২৯,০০২ ফু)। ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের সার্ভেয়র জেনারেল অ্যান্ড্রিউ স্কট ওয়াহর সুপারিশে রয়েল জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটি তার পূর্বসূরী জর্জ এভারেস্টের ১৫ নং পর্বতশৃঙ্গর নাম পরিবর্তন করে এভারেস্ট পর্বত রাখে।[6] ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে একটি ভারতীয় জরিপে এই শৃঙ্গের উচ্চতা নির্ণয় করা হয় ৮,৮৪৮ মি (২৯,০২৯ ফু), যা ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে একটি চীনা জরিপ দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
এভারেস্ট পর্বত | |
---|---|
सगरमाथा;(সগরমাথা) ཇོ་མོ་གླང་མ;(চোমোলাংমা) 珠穆朗玛峰;(ঝুমুলাংমা ফেং) | |
সর্বোচ্চ বিন্দু | |
উচ্চতা | ৮,৮৪৮ মিটার (২৯,০২৯ ফুট) |
সুপ্রত্যক্ষতা | ৮,৮৪৮ মিটার (২৯,০২৯ ফুট) |
বিচ্ছিন্নতা | ৪০,০০৮ কিমি (২৪,৮৬০ মা) |
তালিকাভুক্তি | সপ্তশৃঙ্গ আট-হাজারী পর্বতশৃঙ্গ দেশের উচ্চ পয়েন্ট Ultra |
ভূগোল | |
অবস্থান | সোলুখুম্বু জেলা, সগরমাথা অঞ্চল, নেপাল; টিংরি বিভাগ, জিগাজে/Xigazê, তিব্বত স্বয়ংশাসিত অঞ্চল, চীন |
মূল পরিসীমা | মহালঙ্গুর হিমাল, হিমালয় |
আরোহণ | |
প্রথম আরোহণ | ২৯শে মে, ১৯৫৩ এডমন্ড হিলারি ও তেনজিং নোরগে প্রথম শীতকালীন আরোহণ - ১৯৮০ (লেসজেক চিচি ও ক্রিজিস্তোফ উইয়েলিকি[1][2]) |
সাধারণ পথ | দক্ষিণ-পূর্ব শৈলশিরা (নেপাল) |
ব্রিটিশ পর্বতারোহীরা সর্বপ্রথম এই পর্বতশৃঙ্গ আরোহণের চেষ্টা শুরু করেন। নেপালে এই সময় বিদেশীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় ব্রিটিশরা তিব্বতের দিক থেকে এই পর্বতের উত্তর শৈলশিরা ধরে বেশ কয়েক বার আরহণের চেষ্টা করেন। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের এভারেস্ট পর্বত অভিযানে ব্রিটিশরা তিব্বতের দিক থেকে ৭,০০০ মি (২২,৯৭০ ফু) উচ্চতা পর্য্যন্ত ওঠেন। এরপর ১৯২২ খ্রিস্টাব্দের অভিযানে তারা এই পথে ৮,৩২০ মি (২৭,৩০০ ফু) উচ্চতা পর্য্যন্ত ওঠে মানবেতিহাসের নতূন কীর্তি স্থাপন করেন। এই অভিযানে অবতরনের সময় তুষারধ্বসে সাতজন মালবাহকের মৃত্যু ঘটে। ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দের অভিযান এভারেস্ট আরোহণের ইতিহাসের সবচেয়ে রহস্যময় অভিযান: জর্জ ম্যালোরি ও অ্যান্ড্রিউ আরউইন শৃঙ্গের দিকে আরোহণের একটি অন্তিম প্রচেষ্টা করেন কিন্তু আর ফিরে আসতে ব্যর্থ হন, যার ফলে তাদের আরোহণই প্রথম সফল আরোহণ কি না সেই নিয়ে বিতর্ক তৈরী হয়। ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে ২৯ মে এডমন্ড হিলারি ও তেনজিং নোরগে নেপালের দিক থেকে দক্ষিণ-পূর্ব শৈলশিরা ধরে প্রথম এই শৃঙ্গজয় করেন। ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ মে, চীনা পর্বতারোহী ওয়াং ফুঝোউ, গোনপো এবং চু ইয়িনহুয়া উত্তর শৈলশিরা ধরে এই শৃঙ্গ জয় করেন ।[7][8]