পশ্চিম রণাঙ্গন (প্রথম বিশ্বযুদ্ধ)
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একটি যুদ্ধক্ষেত্র / From Wikipedia, the free encyclopedia
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধের মূল রণাঙ্গন ছিল পশ্চিম ফ্রন্ট । ১৯১৪ সালের আগস্ট মাসে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জার্মান সেনাবাহিনী লুক্সেমবার্গ ও বেলজিয়াম আক্রমণ করার মাধ্যমে পশ্চিম রনাঙ্গনে যুদ্ধ আরম্ভ করে এবং তারপর ফ্রান্সের গুরুত্বপূর্ণ শিল্প অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ লাভ করে। জার্মান আগ্রাসন মার্নের যুদ্ধের সাথে নাটকীয়ভাবে রুখে দাঁড়ায়। 'রেস টু দি সি' এর যুদ্ধের পর উভয় পক্ষ নর্থ সি থেকে সুইস-ফ্রান্স সীমান্ত পর্যন্ত প্রসারিত একটি আঁকাবাঁকা সুরক্ষিত পরিখা খনন করে, যা ১৯১৭ ও ১৯১৮ সাল ছাড়া তেমন একটা পরিবর্তিত হয়েছিল না বললেই চলে।
এই নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ব্যাকরণ, রচনাশৈলী, বানান বা বর্ণনাভঙ্গিগত সমস্যা রয়েছে। |
পশ্চিম রণাঙ্গন | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: প্রথম বিশ্বযুদ্ধ | |||||||
কানাডীয় পদাতিক সেনাদের সাথে ভিমী রিজের যুদ্ধে মার্ক ২ | |||||||
| |||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||
| |||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||
|
| ||||||
শক্তি | |||||||
১৫,৯০০,০০০ | ১৩,২৫০,০০০[1] | ||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||
|
|
১৯১৫ এবং ১৯১৭ সালের মধ্যে এই রনাঙ্গনে বেশ কিছু সংঘাত সংঘটিত হয় । এই হামলাগুলোতে ব্যাপক কামান ব্যবহার এবং বিশাল পদাতিক বাহিনীর অগ্রগতি সাধিত হয়েছিল । পরিখাখনন, মেশিনগান স্থাপন, কাঁটাতার স্থাপন এবং কামান আক্রমণ ও পাল্টা-আক্রমণে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ সঙ্ঘটিত হলেও তেমন কোন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি । এর মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল সংঘাতগুলো ছিল ১৯১৬ সালে ভেরদুনের যুদ্ধ; যেখানে হতাহত ছিল ৭০০,০০০ (আনুমানিক) ,১৯১৪ সালের সোমের যুদ্ধ যেখানে দশ লক্ষ(আনুমানিক) হতাহত হয় এবং ১৯১৭ সালে ৪৮৭,০০০ হতাহতের (আনুমানিক) প্যাশ্চেন্ডেলের যুদ্ধ।
পশ্চিমা ফ্রন্টে যুদ্ধক্ষেত্রের রদ্ধুশ্বাস অবস্থা ভেঙ্গে অগ্রগতি লাভের জন্য উভয় পক্ষই বিষাক্ত গ্যাস, বিমান ও ট্যাংক সহ সামরিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে । উন্নত কৌশল গ্রহণ এবং পশ্চিমা বাহিনীগুলির ক্রমবর্ধমান দুর্বলতার ফলে ১৯১৮ সালে গতিশীলতা ফিরে আসে। ১৯১৮ সালের জার্মান বসন্ত আক্রমণ ব্রিস্ট-লিটভস্কের চুক্তির ফলে সম্ভব হয়েছিল, যা পূর্ব ফ্রন্টে রাশিয়া ও রোমানিয়ায় কেন্দ্রীয় শক্তিগুলির যুদ্ধ শেষ করে। হারিকেন বিমান থেকে তীব্র বোমা বিস্ফোরণ এবং অনুপ্রবেশের কৌশলগুলি ব্যবহার করে, জার্মান বাহিনী পশ্চিমে প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬০ মাইল) প্রবেশ করে, যা ছিল ১৯১৪ সাল থেকে যেকোনো পক্ষের ক্ষেত্রে অর্জিত সর্বাধিক অগ্রগতি, তবুও ফলাফলটি অনির্ধারিত ছিল।
১৯১৮ সালের শতদিনব্যাপী অভিযানে মিত্র বাহিনীর অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি জার্মান সেনাবাহিনীর হঠাৎ পতন ঘটায় এবং জার্মান কমান্ডারদের হুঁশিয়ারি দেয় যে পরাজয় অনিবার্য ছিল। জার্মান সরকার ১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর যুদ্ধবিরতিতে আত্মসমর্পণ করে এবং ১৯১৯ সালে ভার্সাই চুক্তির মাধ্যমে শর্তগুলি নিষ্পত্তি হয়।