দৃশ্যমান বর্ণালী
From Wikipedia, the free encyclopedia
দৃশ্যমান বর্ণালি বা দৃশ্য বর্ণালি বা আলোক বর্ণালি হচ্ছে তড়িচ্চুম্বকীয় বর্ণালীর সেই অংশ যা মানুষের চোখে দৃশ্যমান অর্থাৎ যা মানুষের চোখ চিহ্নিত করতে পারে। এই তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সীমার তড়িচ্চুম্বকীয বিকিরণকে দৃশ্যমান আলো বা শুধু আলো বলে অভিহিত করা হয়। মানুষের চোখ ৩৮০ থেকে ৭৮০ ন্যানোমিটার তরঙ্গ দৈর্ঘ্যে সাড়া দেয়[1]। কম্পাঙ্কে এই সীমা ৭৯০ টেরাহার্জ থেকে ৪০০ টেরাহার্জ পর্যন্ত বিস্তৃত। মানুষের চোখ সর্বোচ্চ প্রায় ৫৫৫ ন্যানোমিটার পর্যন্ত "দেখতে" পারে যা দৃশ্যমান বর্ণালির সবুজ রঙের এলাকায় অবস্থিত। অবশ্য মানুষের চোখ এবং মস্তিষ্ক আলাদা করে চিনতে পারে এমন অনেক রঙই দৃশ্যমান বর্ণালিতে নেই। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ঔজ্জ্বল্য পরিবর্তিত রং যেমন গোলাপী কিংবা মিশ্র রং ম্যাজেন্টা এই বর্ণালিতে অনুপস্থিত কারণ এই রঙগুলি একাধিক তরঙ্গদৈর্ঘ্যের মিশ্রণের ফলে সৃষ্টি হয়।
অনেক প্রজাতির প্রাণির চোখ মানুষের চোখে দৃশ্যমান বর্নালী ছাড়া ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যে সংবেদনশীল হয়। যেমন মৌমাছির মত অনেক কীটপতঙ্গ অতিবেগুনী আলোতে দেখতে পায় যা ফুলের মধু আহরণে তাদেরকে সহায়তা করে। পাখিরাও অতিবেগুনী আলোতে (৩০০-৪০০ ন্যানোমিটার) দেখতে পায়। কিছু কিছু পাখির যৌন নির্ভর চিহ্ন শুধুমাত্র অতিবেগুনী আলোতে দেখা যায়[2][3]।