২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল
From Wikipedia, the free encyclopedia
২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলাবিশেষ। ১৪ জুলাই, ২০১৯ তারিখে ইংল্যান্ডের লন্ডনে অবস্থিত লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।[1] এরফলে, পঞ্চমবারের মতো লর্ডস মাঠটি ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলা আয়োজনের সম্মাননা লাভ করে। এ সংখ্যাটি অন্য যে-কোন মাঠের তুলনায় সর্বাধিকসংখ্যক।[2]
প্রতিযোগিতা | ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ | ||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| |||||||||
সুপার ওভার: ইংল্যান্ড ১৫/০, নিউজিল্যান্ড ১৫/১ ইংল্যান্ড ৯ বাউন্ডারি ব্যবধানে বিজয়ী হয় | |||||||||
তারিখ | ১৪ জুলাই, ২০১৯ | ||||||||
মাঠ | লর্ডস, লন্ডন | ||||||||
ম্যাচসেরা | বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড) | ||||||||
আম্পায়ার | কুমার ধর্মসেনা মারাইজ ইরাসমাস | ||||||||
উপস্থিত দর্শক | ৩০,০০০ | ||||||||
← ২০১৫ ২০২৩ → |
উভয় দল ২৪১ রান করলে ম্যাচ টাই হয়, টাই ভঙ্গকারী হিসেবে সুপার ওভার অনুষ্ঠিত হয় যেটিও টাই হয়। সুপার ওভারের শেষ বলে নিউজিল্যান্ড, মার্টিন গাপটিল ১ রান নিয়ে ইংল্যান্ডের সমান ১৫ করার পর দ্বিতীয় রান নেয়ার জন্য দৌড় শুরু করেন কিন্তু তিনি রান সম্পন্ন করার আগেই ইংল্যান্ডের উইকেট-রক্ষক জস বাটলার তাকে রান আউট করে দেন। যার ফলে সুপার ওভারও টাই হয়। মূল ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ১৭টি বাউন্ডারি মারে, অন্যদিকে ইংল্যান্ড ২৬টি বাউন্ডারি মারে; ফলে বাউন্ডারি গণনা নিয়মে ইংল্যান্ড জয়লাভ করে। এরফলে, ইংল্যান্ড প্রথমবারের মতো ক্রিকেট বিশ্বকাপ বিজয়ী হয়।[3][4][5]
এই প্রথমবারের মত একটি ওয়ানডে ম্যাচের খেলায় সুপার ওভারের প্রয়োজন হয় এবং এটিই প্রথমবারের যেখানে বাউন্ডারি গণনা নিয়মে ফলাফল নির্ধারিত হয়। ম্যাচটিকে ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বাধিক নাটকীয় হিসাবে ধরা হয়, কিছু বিশ্লেষক এটিকে একদিনের ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ ম্যাচ হিসাবে অভিহিত করেন।[6][7][8][9]
ম্যাচের পরে আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা শেষ ওভারে ভুল করার কথা স্বীকার করেন; শেষ ওভারের ৪র্থ বল নিউজিল্যান্ডের ফিল্ডার ফিল্ডিং করে বল স্ট্যাম্পে নিক্ষেপ করেন যেটি বেন স্টোকসের ব্যাটে লাগে, যিনি তখন দ্বিতীয় রান পূর্ণ করতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন এবং ব্যাটে লেগে বলটি বাউন্ডারিতে যেয়ে চার হয়ে যায়, ধর্মসেনা ওভারথ্রোতে চারসহ মোট ছয় রান দেন কিন্তু যেখানে তার পাঁচ রান দেওয়া উচিত ছিল যেহেতু ব্যাটসম্যানরা নিক্ষেপের সময় তখনও দ্বিতীয় রানটি পূর্ণ করেননি। তবে ধর্মসেনা বলেন যে তিনি তার "সিদ্ধান্তের জন্য কখনই অনুশোচনা করবেন না"।[10][11][12] ঘটনার ফলস্বরূপ, মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব জানায় যে তারা ওভারথ্রোর নিয়মটি পর্যালোচনা করবে।[13][14]