১৯৮৬ ফিফা বিশ্বকাপ
ফুলবল প্রতিযোগিতা ফিফা বিশ্বকাপের ১৩ তম আসরের / From Wikipedia, the free encyclopedia
১৯৮৬ ফিফা বিশ্বকাপ (ইংরেজি: 1986 FIFA World Cup) হল ফিফা বিশ্বকাপের ১৩তম আসর যা মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৬ সালের ৩১ মে থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত। এতে অংশগ্রহণ করে ২৪টি দেশ। প্রকৃতপক্ষে, বিশ্বকাপের এই আসর আয়োজনের জন্য কলম্বিয়াকে নির্বাচিত করেছিল ফিফা, কিন্তু অর্থনৈতিক কারণে ১৯৮২ সালে তারা তা প্রত্যাহার করে নেয়। ১৯৮৩ সালের মে মাসে নতুন আয়োজক হিসেবে মেক্সিকোকে নির্বাচিত করা হয়।
Copa Mundial de Fútbol México '86 | |
---|---|
বিবরণ | |
স্বাগতিক দেশ | মেক্সিকো |
তারিখ | ৩১ মে – ২৯ জুন (৩০ দিন) |
দল | ২৪ (৫টি কনফেডারেশন থেকে) |
মাঠ | ১২ (৯টি আয়োজক শহরে) |
চূড়ান্ত অবস্থান | |
চ্যাম্পিয়ন | আর্জেন্টিনা (২য় শিরোপা) |
রানার-আপ | পশ্চিম জার্মানি |
তৃতীয় স্থান | ফ্রান্স |
চতুর্থ স্থান | বেলজিয়াম |
পরিসংখ্যান | |
ম্যাচ | ৫২ |
গোল সংখ্যা | ১৩২ (ম্যাচ প্রতি ২.৫৪টি) |
দর্শক সংখ্যা | ২৩,৯৩,০৩১ (ম্যাচ প্রতি ৪৬,০২০ জন) |
শীর্ষ গোলদাতা | গ্যারি লিনেকার (৬ গোল) |
সেরা খেলোয়াড় | দিয়েগো মারাদোনা |
← ১৯৮২ ১৯৯০ → |
বিশ্বকাপের এই আসরের শিরোপাধারী দল হল আর্জেন্টিনা (দ্বিতীয় শিরোপা)। দলের নেতৃত্ব দেন দিয়েগো মারাদোনা, যিনি একই কোয়ার্টার-ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কুখ্যাত “হ্যান্ড অফ গড” এবং “শতাব্দীর সেরা গোল” হিসেবে নির্বাচিত গোল দুইটি করেন। পুরো প্রতিযোগিতায় তিনি করেন পাঁচ গোল এবং সতীর্থদের দিয়ে করান আরও পাঁচটি গোল।[1] ফাইনালে মেক্সিকো সিটির ইস্তাদিও অ্যাজতেকায় পশ্চিম জার্মানিকে ৩–২ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা। পুরো প্রতিযোগিতায় মোট দর্শক উপস্থিতি ছিল ২,৩৯৩,০৩১, গড় হিসেবে প্রতি খেলায় ৪৬,০১৯।[2]
এই প্রতিযোগিতার ধরন ১৯৮২-এর চেয়ে ভিন্ন ছিল। দ্বিতীয় পর্বে গ্রুপের পরিবর্তে নক-আউট পদ্ধতি চালু ছিল। অংশগ্রহণকারী ২৪টি দলকে চারটি করে ছয়টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছিল (এ থেকে এফ)। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল এবং ছয়টি গ্রুপ হতে তৃতীয় স্থানে থাকা চারটি শীর্ষ দল দ্বিতীয় পর্বের টিকিট পায়। এটিই ছিল শেষ বিশ্বকাপ যেখানে একই মহাদেশের দলগুলোকে সম্পূর্ণরূপে আলাদা না করে প্রথম পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতার পর নতুন নিয়মের অধীনে বিশ্বকাপের প্রতিটি গ্রুপে দুইটি বা তিনটি করে ইউরোপীয় দল বিদ্যমান থাকে। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে, গ্রুপ বি-তে শুধুমাত্র একটি ইউরোপীয় দল ছিল (বেলজিয়াম)।