১৯৪৮ অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের ইংল্যান্ড সফরে ডন টলন
From Wikipedia, the free encyclopedia
ডন টলন ১৯৪৮ সালে ডন ব্র্যাডম্যানের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বিখ্যাত ইংল্যান্ড সফরে অন্যতম সদস্য ছিলেন। ঐ সফরে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলটি তাদের ৩৪ খেলায় অপরাজিত ছিল। ইংল্যান্ড সফরে একটি টেস্ট দলের এই অভূতপূর্ব সাফল্যে তাদেরকে ‘অপরাজেয়’ বা ‘অজেয়’ ডাকনামে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ডোনাল্ড টলন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | (১৯১৬-০২-১৭)১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯১৬ বুন্দাবার্গ, কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৮৪(1984-09-07) (বয়স ৬৮) বুন্দাবার্গ, অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ডিফি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮ মিটার (৫ ফুট ১১ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি লেগ স্পিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক | ১০ জুন ১৯৪৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৪ আগস্ট ১৯৪৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
রন স্যাগার্সকে পিছনে ঠেলে দলের প্রথম পছন্দের উইকেট-রক্ষক টলন পাঁচ টেস্টের চারটিতেই খেলেছিলেন। তন্মধ্যে, আঘাতের কারণে চতুর্থ টেস্ট খেলতে পারেননি। গ্লাভস হাতে অগ্রাধিকারী টলন এ সফরে স্যাগার্সের তুলনায় উচ্চ গড়ে বাই রান আটকিয়েছিলেন।
ব্র্যাডম্যান এ সফরে দুইজন গ্লাভস হাতের অধিকারীকে পর্যায়ক্রমে খেলিয়েছিলেন এবং ৩১টি প্রথম-শ্রেণীর খেলার মধ্যে ১৪টিতে অংশ নিয়ে ২৯ ক্যাচ ও ১৪ স্ট্যাম্পিং করেছিলেন। ওভালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম টেস্টে লেন হাটন টলনের হাতে ক্যাচে পরিণত হওয়াকে উইজডেন বছরের সেরা ক্যাচ হিসেবে আখ্যায়িত করে। এছাড়াও, ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত তৃতীয় টেস্টে কঠিন ক্যাচ লুফে নিয়ে জর্জ এমেটকে ফেরৎ পাঠান যা ইয়র্কার লেন্থ হিসেবে তার পায়ের কাছে পড়েছিল ও বলটি ক্যাচে পরিণত হয়। তাস্বত্ত্বেও টলন কিছু ভুল-ভ্রান্তি করেছিলেন। আঙ্গুলের আঘাতের কারণে ক্যাচ উপযোগী বলকে সঠিকভাবে ধরতে পারেননি। ব্যাট হাতে বেশ কম সুযোগ পেয়েছেন। ১৩টি প্রথম-শ্রেণীর ইনিংসে দুই অর্ধ-শতক সহযোগে ২৫.৭২ ব্যাটিং গড়ে ২৮৩ রান তোলেন। টেস্টে ২৮.০০ গড়ে ১১২ রান তোলেন। তন্মধ্যে, দ্বিতীয় টেস্টে মাঝারি সারিতে ধ্বস নামলে ইংল্যান্ডের দিকে খেলা ঝুঁকে পড়াবস্থায় তিনি ৫৩ রান করেন ও প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ৩৫০ রান করে। টেস্টগুলোয় তিনি সর্বসাকুল্যে ১২ ক্যাচ নিয়েছিলেন।
তার অসম্ভব ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৪৯ সালে উইজডেন কর্তৃপক্ষ তাকে বর্ষসেরা পাঁচ ক্রিকেটারের একজনরূপে ঘোষণা করে।