হিন্দু পঞ্জিকা
হিন্দুদের দ্বারা অনুসৃত পঞ্জিকাবিশেষ / From Wikipedia, the free encyclopedia
হিন্দু পঞ্জিকা বা হিন্দু পঞ্চাঙ্গ হল হিন্দু ধর্মে প্রথাগত ভাবে ব্যবহৃত চান্দ্র-নাক্ষত্র এবং নাক্ষত্র পঞ্জিকাসমূহের সমষ্টিগত নাম। আঞ্চলিক বৈচিত্র্যের কারণে হিন্দু পঞ্জিকার অসংখ্য সংস্করণ দেখা যায়। এদের মধ্যে অধিক প্রভাবশালী জাতীয় ও আঞ্চলিক হিন্দু পঞ্জিকাগুলি হল– নেপালের সরকারি নেপালি পঞ্জিকা এবং ভারতের বাংলা পঞ্জিকা, পঞ্জাবি পঞ্জিকা, ওড়িয়া পঞ্জিকা, মলয়ালম পঞ্জিকা, কন্নড় পঞ্জিকা, টুলু পঞ্জিকা, তামিল পঞ্জিকা, বিক্রম সংবৎ ও দাক্ষিণাত্যের কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গাণা আর অন্ধ্র প্রদেশের শালিবাহন পঞ্জিকা।[1]
এই নিবন্ধটি যাচাইযোগ্যতার জন্য প্রাথমিক উৎসের উপর প্রবলভাবে নির্ভর করে। |
আঞ্চলিক হিন্দু পঞ্জিকাগুলির একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হল, বারোটি মাসের নাম সব পঞ্জিকাতেই একই আছে। যদিও বিভিন্ন অঞ্চলে বছরের প্রথম মাসটি বিভিন্ন। কম্বোডিয়া, লাওস, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ বর্ষপঞ্জি আর কিছু সৌর-চান্দ্র পঞ্জিকা হিন্দু পঞ্জিকারই প্রাচীন সংস্করণের উপর প্রতিষ্ঠিত।
বেশিরভাগ হিন্দু পঞ্জিকাই ৫ম ও ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে গুপ্তযুগের আর্যভট্ট ও বরাহমিহিরের জ্যোতির্বিদ্যার ফসল। এই জ্যোতির্বিদ্যার মূল আধার ছিল প্রাচীন হিন্দু গ্রন্থ বেদাঙ্গ জ্যোতিষ, যাকে পরে সংস্কার করে সূর্য সিদ্ধান্ত গ্রন্থটি লিখিত হয়। মধ্যযুগের এই পঞ্জিকার আঞ্চলিক বৈচিত্র্য সৃষ্ট হতে থাকে। দ্বাদশ শতাব্দীতে দ্বিতীয় ভাস্কর জ্যোতির্বিদ্যার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন। বর্ষপঞ্জির আঞ্চলিক সংস্করণে ওই গুপ্তযুগীয় গণনারই কিছু পার্থক্য দেখা যায়, তবে প্রতিটি সংস্করণের ভিত্তি মূলত হিন্দু সৌর-চান্দ্র পঞ্জিকা।
১৯৫৭ সালে সেই হিন্দু পঞ্জিকার ওপর ভিত্তি করেই ভারতের জাতীয় বর্ষপঞ্জি শক সংবৎ গঠিত হয়।