হামফ্রি বোগার্ট
মার্কিন অভিনেতা / From Wikipedia, the free encyclopedia
হামফ্রি ডিফরেস্ট বোগার্ট (২৫ ডিসেম্বর ১৮৯৯ - ১৪ জানুয়ারি ১৯৫৭)[1][2] ছিলেন একজন মার্কিন চলচ্চিত্র ও মঞ্চাভিনেতা। বোগার্ট তার ৩০ বছরের দীর্ঘ অভিনয় পেশায় ৭৫টির বেশি ছবিতে অভিনয় করেন। ধ্রুপদী হলিউড যুগে তার কাজগুলো তাকে একজন সাংস্কৃতিক প্রতিমার আসনে অধিষ্ঠিত করে।[3][4] অভিনয় জীবনে তিনি তিনবার অস্কারের জন্য মনোনয়ন পান এবং একবার জয়ী হন। ১৯৯৯ সালে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট তাকে ধ্রুপদী হলিউড চলচ্চিত্র শিল্পের সেরা পুরুষ তারকার স্বীকৃতি দেয়।[5]
হামফ্রি বোগার্ট | |
---|---|
জন্ম | হামফ্রি ডিফরেস্ট বোগার্ট (১৮৯৯-১২-২৫)২৫ ডিসেম্বর ১৮৯৯ |
মৃত্যু | জানুয়ারি ১৪, ১৯৫৭(1957-01-14) (বয়স ৫৭) |
সমাধি | ফরেস্ট লন মেমোরিয়াল পার্ক, গ্লেনডেল, ক্যালিফোর্নিয়া |
শিক্ষা | ট্রিনিটি স্কুল নিউ ইয়র্ক সিটি ফিলিপ্স একাডেমি |
পেশা | অভিনেতা |
কর্মজীবন | ১৯২১-৫৬ |
দাম্পত্য সঙ্গী | হেলেন মেনকেন (বি. ১৯২৬; বিচ্ছেদ. ১৯২৭) মেরি ফিলিপ্স (বি. ১৯২৮; বিচ্ছেদ. ১৯৩৭) মেয়ো মেথট (বি. ১৯৩৮; বিচ্ছেদ. ১৯৪৫) লরেন বাকল (বি. ১৯৪৫; মৃ. ১৯৫৭) |
সন্তান | ২ |
পিতা-মাতা | বেলমন্ট ডিফরেস্ট বোগার্ট মড হামফ্রি |
পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ অভিনেতার অস্কার(১৯৫১) |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট |
স্বাক্ষর | |
বোগার্টের অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯২১ সালে। এর আগে তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন নৌবাহিনীতে কিছুদিন দায়িত্ব পালনের পর অর্থনীতি সম্পর্কিত এবং মঞ্চে কিছু কাজ করেন কিন্তু সেগুলো ছিল অসফল। ১৯২০ থেকে ১৯৩০ সালের মধ্যে তিনি ধীরে ধীরে নিয়মিতভাবে ব্রডওয়ে মঞ্চনাটকে অংশ নেয়া শুরু করেন। ১৯২৯ সালে মার্কিন শেয়ার বাজার ধ্বসের পর মঞ্চের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে যায় তখন বোগার্ট চলচ্চিত্রের দিকে মনোযোগ দেন। ছায়াছবিতে তার সর্বপ্রথম সফলতা আসে ১৯৩৬ সালে নির্মিত দ্য পেট্রিফাইড ফরেস্ট ছবিতে যেখানে তিনি ডুক ম্যান্টি চরিত্রে অভিনয় করেন। পূর্বে ব্রডওয়ে মঞ্চে তিনি একই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ওয়ার্নার ব্রস. এই চরিত্রের জন্য এডওয়ার্ড জি. রবিনসনকে নিতে চেয়েছিল, কিন্তু মঞ্চনাটক ও চলচ্চিত্র দুই মাধ্যমেই মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করা লেসলি হাওয়ার্ড তাকেই এই চরিত্রে নেওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করেন। এরপর সফলতা আসে গ্যাংস্টারধর্মী "অ্যাঞ্জেলস উইথ ডার্টি ফেসেস" (১৯৩৮) ছবি দিয়ে।
বোগার্ট মুখ্য চরিত্রে প্রথম সফলতা অর্জন করেন ১৯৪১ সালে নির্মিত হাই সিয়েরা এবং দ্য মাল্টিজ ফ্যালকন ছবি দুটির মাধ্যমে এবং ছবি দুটি তাকে তারকা খ্যাতি এনে দেয়। ১৯৪৩ সালের কাসাব্লাঙ্কা ছবিতে অভিনয় করে তিনি অস্কারের জন্য মনোনীত হন এবং এর মাধ্যমেই তিনি তার গ্যাংস্টার সত্তা ত্যাগ করে তার ট্রেডমার্ক প্রণয়ধর্মী চরিত্রটি পান। এরপর একে একে তারঁ অভিনীত টু হ্যাভ অ্যান্ড হ্যাভ নট (১৯৪৪), দ্য বিগ স্লিপ (১৯৪৬), ডার্ক প্যাসেজ (১৯৪৭), এবং কি লার্গো (১৯৪৮) ছবিগুলো সফলতা পায়; এই চারটি ছবির নায়িকা ছিলেন তাঁ স্ত্রী লরেন বাকল। তার অভিনীত পরবর্তী সফল ছবিগুলো হল দ্য ট্রেজার অব দ্য সিয়েরা মাদ্রে (১৯৪৮), ইন আ লোনলি প্লেস (১৯৫০), দি আফ্রিকান কুইন (১৯৫১; এতে তিনি অস্কার বিজয়ী হন), সাবরিনা (১৯৫৪), দ্য কেইন মিউটিনি (১৯৫৪; অস্কার মনোনয়ন), দ্য বেয়ারফুট কনটেসা (১৯৫৪) এবং উই আর নো অ্যাঞ্জেলস (১৯৫৫)। তার অভিনীত সর্বশেষ ছবিটি ছিল দ্য হার্ডার দে ফল (১৯৫৬)।