হাক্কানি নেটওয়ার্ক
From Wikipedia, the free encyclopedia
হাক্কানি নেটওয়ার্ক হল একটি আফগান ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী, যা হাক্কানি উপাধিধারী একটি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গড়ে উঠেছে, যা ১৯৮০–এর দশকের দিকে সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে আফগানিস্তানে অসম যুদ্ধ করেছিল এবং ২১ শতকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী ও আফগানিস্তানের ইসলামি প্রজাতন্ত্রীয় সরকারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছিল।[17] দলটি জাতিসংঘ কর্তৃক একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবেও স্বীকৃত [18] এবং এটি তালেবানের একটি "আধা-স্বায়ত্তশাসিত" শাখা হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি পূর্ব আফগানিস্তান ও উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের সীমান্তের ওপারে সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। [19][20][21][22][23] ২০২১ সালে তালেবান কর্তৃক কাবুল দখল করার সময় দলটি কাবুল শহরের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। [24]
হাক্কানি নেটওয়ার্ক د حقاني شبکې | |
---|---|
জিহাদের পতাকা, যা গোষ্ঠীটি ১৯৭০ এর দশকে তার গঠনকাল থেকে ব্যবহার করে আসছে। তালেবানের পতাকা, যা এর বর্তমান দলীয় পতাকা। | |
প্রতিষ্ঠাতা | জালালউদ্দীন হাক্কানি (১৯৭০ এর দশক) |
নেতা |
|
অপারেশনের তারিখ | ১৯৭০ এর দশক [1]–বর্তমান |
এর সাথে একত্রিত | তালেবান |
আনুগত্য | আফগানিস্তান ইসলামি আমিরাত (১৯৯৫ থেকে) |
সদরদপ্তর | কাবুল |
সক্রিয়তার অঞ্চল | আফগানিস্তান ও পাকিস্তান (আফগানিস্তান পাকিস্তান সীমান্ত)[2][3][4][5] |
মতাদর্শ | খেলাফত ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা |
অবস্থা | সক্রিয় |
আকার | ৪,০০০–১৫,০০০[3][6][7] |
এর অংশ | |
মিত্র | ১৯৯৫–বর্তমান
|
বিপক্ষ | Republican insurgency
|
খণ্ডযুদ্ধ ও যুদ্ধ | Soviet–Afghan War Afghan Civil War (1989–1992) Afghan Civil War (1992–1996) Afghan Civil War (1996–2001) War in Afghanistan (2001–2021) Taliban insurgency Operation Zarb-e-Azb Islamic State–Taliban conflict[13] 2021 Taliban offensive[14][15] |
হাক্কানি নেটওয়ার্ক ১৯৭০ সালে জাদারান উপজাতির জিহাদি আমির জালাল উদ্দিন হাক্কানি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, [25] যিনি ১৯৮০–এর দশকে সোভিয়েতদের বিরুদ্ধে ইউনুস খালিসের মুজাহিদ দলের পক্ষে লড়াই করেছিলেন। জালালউদ্দিন হাক্কানি ২০১৮ সালে মারা যান এবং তার ছেলে সিরাজুদ্দিন হাক্কানি এখন গ্রুপের নেতৃত্ব দেন। [26] হাক্কানি নেটওয়ার্ক ১৯৮০-এর দশকে রিগান প্রশাসনের অধীনে সবচেয়ে অধিক সিআইএ কর্তৃক অর্থায়ন করা সোভিয়েত-বিরোধী গ্রুপের একটি ছিল। [27] [3] যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে, হাক্কানি ওসামা বিন লাদেনসহ বিদেশী মুজাহিদিনদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। [23][19] তিনি ওসামা বিন লাদেনের ঘনিষ্ঠ পরামর্শদাতাদের একজন হয়ে ওঠেন। এছাড়া হাক্কানি নেটওয়ার্ক ১৯৯৫ সালে তালেবানের প্রতি আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল [28] এবং তখন থেকে গোষ্ঠীটির একটি ক্রমবর্ধমান সংগঠিত শাখা হয়ে উঠে। [29] তালেবান ও হাক্কানি নেতারা নেটওয়ার্কটির আলাদা অস্তিত্ব অস্বীকার করে বলেন যে এটি তালেবান থেকে আলাদা নয়। [28] ২০১২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হাক্কানি নেটওয়ার্ককে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে মনোনীত করে। ২০১৫ সালে পাকিস্তান জাতীয় কর্ম পরিকল্পনার অংশ হিসাবে হাক্কানি নেটওয়ার্ককে নিষিদ্ধ করেছিল। [30] [31]
আফগানিস্তানে যুদ্ধের সময় (২০০১-২০২১ খ্রি.) কিছু মারাত্মক হামলার হোতা হিসেবে হাক্কানি নেটওয়ার্ককে দায়ী করা হয়েছিল, যা প্রায়ই আত্মঘাতী বোমা হামলা ব্যবহার করে এবং জটিল হামলা চালাতে সক্ষম হয়। পাকিস্তানি সামরিক সংস্থার সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বিষয়ে তাদের দীর্ঘ দিন ধরেই সন্দেহ করা হয়েছিল, তবে পাকিস্তান তা অস্বীকার করেছে। আল কায়েদার পাশাপাশশি নেটওয়ার্কটি ভারতের বিরোধী জইশে মোহাম্মদ ও লশকর-ই-তাইয়েবা সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল দলটিকে তালেবানের "সবচেয়ে উগ্র এবং সহিংস শাখা" বলে অভিহিত করেছে। [17][19][23][32] [33][5]