হাইফা যুদ্ধ (১৯১৮)
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ের যুদ্ধ / From Wikipedia, the free encyclopedia
হাইফা যুদ্ধটি শ্যারন যুদ্ধের শেষের দিকে ১৯১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সংঘটিত হয়েছিল, যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সিনাই ও প্যালেস্টাইন অভিযানের সময়ের শেষ মাসগুলিতে ১৯শে থেকে ২৫শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত নাবলুসের যুদ্ধের সঙ্গে একত্রে আনুষঙ্গিক অংশ মেগিদ্দো যুদ্ধ গঠন করেছিল। হাইফা যুদ্ধের সময়, ভারতীয় ১৫তম (ইম্পেরিয়াল সার্ভিস) ক্যাভালরি ব্রিগেড, ৫তম অশ্বারোহী বিভাগ ও ডেজার্ট মাউন্টেড কর্পসের অংশ অটোমান সাম্রাজ্যের রিয়ারগার্ড বাহিনীকে আক্রমণ করেছিল এবং হাইফা ও আকরে শহর দখল করেছিল। এই আক্রমণটি শ্যারনের যুদ্ধের অশ্বারোহী পর্বের সময়ে ডেজার্ট মাউন্টেড কর্পসের সমতল দখল করার পরে যিহূদীয় পাহাড়ের যুদ্ধক্ষেত্রের ৪০-৫০ মাইল (৬৪-৮০ কিমি) পিছনে এসড্রেলন সমভূমির উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে (জেজরিল উপত্যকা ও আর্মাগেদনের সমভূমি নামেও পরিচিত) সংগঠিত হয়েছিল।
হাইফা যুদ্ধ | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্য রণাঙ্গন | |||||||||
হাইফা শহরটি দখল করার পরে যোধপুর ল্যান্সারদের শহরের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হওয়ার দৃশ্য | |||||||||
| |||||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||||
উসমানীয় সাম্রাজ্য জার্মান সাম্রাজ্য অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি | |||||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||||
সিরিল রডনি হারবোর্ড দলপত সিং শেখাওয়াত † | অজানা | ||||||||
জড়িত ইউনিট | |||||||||
১৫তম (ইম্পেরিয়াল সার্ভিস) অশ্বারোহী ব্রিগেড | হাইফা গ্যারিসন | ||||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||||
৮ জন ভারতীয়ের মৃত্যু হয়েছিল ৩৪ জন ভারতীয় আহত হয়েছিল[1] |
মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা অজানা বন্দী ২ জার্মান সেনা কর্মকর্তা ২৩ জন অটোমান সেনা কর্মকর্তা ৬৬৪ জন অন্যন্য পদমর্যাদার[1] মোট: ১,৩৫০ জন বন্দী |
মেগিদো যুদ্ধ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পদাতিক বাহিনীর আক্রমণের মাধ্যমে ভূমধ্যসাগর থেকে শ্যারনের সমভূমি পেরিয়ে যিহূদীয় পাহাড়ের পাদদেশে প্রায় একটানা পথ ধরে শুরু হয়েছিল। তারা অটোমান যুদ্ধক্ষেত্রে আক্রমণ করেছিল এবং তুলকর্মে অটোমানদের অষ্টম সেনাবাহিনীর সদর দফতর, তাবসরের পরিখা ও আরারার দখল করেছিল। অষ্টম সেনাবাহিনীকে উপকূলে ধূর্ততার সঙ্গে পরাস্ত করা হয়েছিল এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অশ্বারোহী বাহিনী তৈরিকৃত ফাঁক দিয়ে উত্তর দিকে চলে গিয়েছিল। ডেজার্ট মাউন্টেড কর্পস যিহূদীয় পাহাড়ে পদাতিক বাহিনীকে প্রায় ঘিরে ফেলে তাদের সরবরাহ, যোগাযোগ ও পশ্চাদপসরণের প্রধান পথসমূহ দখল করেছিল। একটি অটোমান বাহিনী ২৫শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এবং বাকি দুইটি বাহিনী দামেস্কের উত্তরে পশ্চাদপসরণ করেছিল।
পূর্বের বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টাকে রিয়ারগার্ডের শক্তিশালী অবস্থানের মাধ্যমে ব্যর্থ করার পরে ৫ম অশ্বারোহী বিভাগকে হাইফা ও আকরে দখলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ১৫তম (ইম্পেরিয়াল সার্ভিস) ক্যাভালরি ব্রিগেডের মাইসোর ল্যান্সারদের একটি স্কোয়াড্রন ও শেরউড রেঞ্জার্স ইয়োম্যানরির একটি স্কোয়াড্রন যোধপুর ল্যান্সার ও একটি হালকা গাড়ি টহল দল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আগে একটি অস্ট্রিয়ান আর্টিলারি ব্যাটারির উপর প্রাথমিক আক্রমণ করেছিল, মূল জার্মান রিয়ারগার্ড অবস্থানে আক্রমণ করতে ও শহরটি দখল করতে। এই দিনটিকে প্রতি বছর ২৩শে সেপ্টেম্বর হাইফা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।