স্বরতীক্ষ্ণতা
সঙ্গীতে ব্যবহৃত ধ্বনিসমূহের এমন একটি প্রত্যক্ষণজাত বা উপলব্ধিজাত ধর্মকে বোঝায় যার দ্বারা সেই / From Wikipedia, the free encyclopedia
সঙ্গীত তত্ত্ব ও শ্রুতিবিজ্ঞানের আলোচনায় স্বরতীক্ষ্মতা বা গ্রাম বলতে সঙ্গীতে ব্যবহৃত ধ্বনিসমূহের এমন একটি প্রত্যক্ষণজাত বা উপলব্ধিজাত ধর্মকে বোঝায় যার দ্বারা সেই ধ্বনিগুলিকে একটি কম্পাঙ্কভিত্তিক স্বরগ্রামে একে অপরের সাপেক্ষে উঁচু (বেশি তীক্ষ্ণ) বা নিচু (কম তীক্ষ্ণ) অবস্থানে স্থাপন করা যায়।[1] সাধারণভাবে বললে স্বরতীক্ষ্মতা হল সঙ্গীতের ধ্বনি বা স্বরের সেই বৈশিষ্ট্য যার সুবাদে সেটিকে সাঙ্গীতিক সুরের দৃষ্টিকোণ থেকে অপেক্ষাকৃত "উচ্চ" বা অধিক তীক্ষ্ণ কিংবা "নিম্ন" বা কম তীক্ষ্ণ হিসেবে বিচার করা যায়।[2] স্বরতীক্ষ্মতা হল সাঙ্গীতিক স্বরের একটি অন্যতম প্রধান শ্রাবণিক বৈশিষ্ট্য। স্বরের অন্য প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল স্বরস্থায়িত্ব (duration), স্বরোচ্চতা (loudness) এবং স্বরগুণ (timbre)।[3]
স্বরতীক্ষ্ণতাকে কখনও কখনও একটি কম্পাঙ্ক হিসেবে পরিমাণবাচক রূপ প্রদান করা হতে পারে, কিন্তু স্বরতীক্ষ্ণতা প্রকৃতপক্ষে একটি সম্পূর্ণ বস্তুনিষ্ঠ ভৌত বৈশিষ্ট্য নয়। বরং এটি সাঙ্গীতিক ধ্বনির একটি ব্যক্তিনিষ্ঠ মনোশব্দগত বৈশিষ্ট্য। ঐতিহাসিকভাবে স্বরতীক্ষ্ণতা ও মনের ভেতরে স্বরতীক্ষ্মতার প্রত্যক্ষণ বা উপলব্ধির গবেষণা মনোশব্দবিজ্ঞানের একটি কেন্দ্রীয় সমস্যা হিসেবে পরিগণিত এবং শ্রবণতন্ত্রে শব্দ বা ধ্বনি কীভাবে উপস্থাপিত হয়, প্রক্রিয়াজাত হয় ও কীভাবে এর প্রত্যক্ষণ বা উপলব্ধি হয়, সে বিষয়ক তত্ত্বগুলি প্রণয়নে ও পরীক্ষণের ক্ষেত্রে এই গবেষণাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।[4]