সিরাজুল হক সিকদার (২৭ অক্টোবর ১৯৪৪-২ জানুয়ারি ১৯৭৫) বাংলাদেশের একজন কমিউনিস্ট বিপ্লবী নেতা ছিলেন।[1] ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দের ৮ জানুয়ারি তিনি সমমনা কয়েকজনকে নিয়ে পূর্ব বাংলা শ্রমিক আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেন—যার লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে পূর্ববাংলাকে মুক্ত করে জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লব সম্পন্ন করা, সমাজতন্ত্র ও সাম্যবাদ অভিমুখে যাত্রা করবার লক্ষ্যে বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠা করা। সিরাজ সিকদার গ্রেফতার হন ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১ জানুয়ারি এবং পরদিন ২ জানুয়ারি গভীর রাতে তাকে হত্যা করা হয়।[1] অ্যান্থনি মাসকারেনহাস তার বাংলাদেশ: রক্তের ঋণ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন যে, সিরাজের বোন শামীম সিকদার তার ভাইকে হত্যার জন্য শেখ মুজিবকে অভিযুক্ত করেছিলেন। হত্যাকাণ্ডের ১৭ বছর পর ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দের ৪ জুন এই বিষয়ে আদালতে মামলা করা হয়। সেই মামলা এখনো বিচারাধীন।
দ্রুত তথ্য সিরাজুল হক সিকদার, জন্ম ...
সিরাজুল হক সিকদার |
---|
|
জন্ম | (১৯৪৪-১০-২৭)২৭ অক্টোবর ১৯৪৪
|
---|
মৃত্যু | ২ জানুয়ারি ১৯৭৫(1975-01-02) (বয়স ৩০)
|
---|
মৃত্যুর কারণ | হত্যা |
---|
সমাধি | মোহাম্মদপুর কবরস্থান |
---|
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
---|
শিক্ষা | বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং |
---|
মাতৃশিক্ষায়তন | পূর্ব পাকিস্তান প্রকৌশল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় (পূপাপ্রকাবি) |
---|
পেশা | প্রকৌশলী, শিক্ষক |
---|
প্রতিষ্ঠান | কনস্ট্রাকশন অ্যানড বিল্ডিং (সি অ্যানড বি) ডিপার্টমেন্ট, দি ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড, টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ |
---|
পরিচিতির কারণ | রাজনীতিবিদ, কবি, মুক্তিযোদ্ধা |
---|
রাজনৈতিক দল | পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি |
---|
দাম্পত্য সঙ্গী | রওশন আরা মুক্তি (১৯৬৬-১৯৭০) (তালাক), জাহানারা হাকিম রাহেলা (১৯৬৯-১৯৭?) (তালাক), রওশন(), রাবেয়া খাতুন রুনু (), শায়লা আমিন ওরফে খালেদা () |
---|
সঙ্গী | জাহানারা হাকিম রাহেলা (ওনার স্বামী সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন এবং তাঁদের ছেলে মেয়ে ছিল), মনজি খালেদা বেগম ওরফে সুফিয়া (দলীয় নাম) ওরফে রুবী ওরফে বুলু (দলীয় নাম) |
---|
সন্তান | শিখা সিকদার (মেয়ে), শুভ্র সিকদার (ছেলে-মৃত), অরুণ (ছেলে) |
---|
পিতা-মাতা | আবদুর রাজ্জাক সিকদার (বাবা) |
---|
আত্মীয় | বাদশা আলম সিকদার (ভাই), শামীম শিকদার (বোন) |
---|
বন্ধ